জাতিসংঘের অধিবেশনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

 

স্টাফ রিপোর্টার: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিয়ে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখবেন।  প্রধানমন্ত্রী সংসদ ও দলীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় জাতিসংঘ অধিবেশনে যাচ্ছেন না- গতকাল গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদের সূত্র ধরে বিরোধীদলের নেতারা বলেন, প্রশ্নের ভয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে যাচ্ছেন না। এ নিয়ে দিনভর আলোচনার পর রাতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তার অধিবেশনে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরটি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।

অপপ্রচারেই পাঁচ সিটিতে হার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি ও জামায়াত ধর্মের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করে পাঁচ সিটি করপোরেশনে ভোট নিয়েছে। জনগণ এখন বুঝতে পেরেছে যে, বিএনপি ও জামায়াত তাদেরকে বিভ্রান্ত করেছে। গতকাল বরিশাল বার অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয় অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও জামায়াত অপপ্রচার চালাতে দক্ষ যা পাঁচ সিটি করপোরেশনে আমাদের পরাজয়ের প্রধান কারণ। জনগণ এখন বুঝতে পেরেছে যে তারা বিভ্রান্ত হয়েছে। তাই তারা তাদের মনোভাব পরিবর্তন করেছেন। তিনি বলেন, চলতি বছরের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের কয়েক হাজার কর্মী নিহত হয়েছিলো বলে বিএনপি মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে। তারা হাইতিতে ভূমিকম্পে নিহত এবং যুক্তরাষ্ট্রের জোনস টাউনে গণআত্মহত্যার ঘটনার ছবি দেখিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নতি হয়। জনগণ কিছু পায় এবং তারা সুখে ও শান্তিতে বসবাস করে। তাদের খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়। অন্যদিকে বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে জনগণ নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত হয়। বিএনপি দুর্নীতি, জনগণের সম্পদ লুট ও হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত থাকে বলে বিদ্যুৎ সংকট ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, মাথাপিছু আয় এক হাজার ৪৪ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে এবং সার্বিক দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি বিগত মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিলো এবং একই কাজ করার জন্য তারা আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় এলে সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে এবং দেশ আবারও অন্ধকারে নিপতিত হবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসনাত আবদুলাহ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস এবং সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।