চেয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে কথা বলার নির্দেশে ক্ষুদ্ধ স্বাস্থ্য সহকারীরা

আলমডাঙ্গা টিএইচও’র বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সহকারীর সাথে অসৌজন্যজনক আচরণের অভিযোগ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার মাসুদ রানার বিরুদ্ধে জেলা স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির সাথে অসৌজন্যজনক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার মাসিক মিটিঙে ৫ মিনিট দেরিতে উপস্থিত হলে তাকে চেয়ারে ওপর উঠে দাঁড়াতে বার বার তাগাদাসহ ন্যাক্কারজনক আচরণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার মাসিক মিটিং অনুষ্ঠিত হয় আলমডাঙ্গার হারদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অডিটোরিয়ামে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার মাসুদ রানার সভাপতিত্বে সকাল ১০টায় যথারীতি সভা শুরু হয়। সভা শুরুর ৫ মিনিট পরে উপস্থিত হন খাসকররা ইউনিয়নের দায়িত্বরত স্বাস্থ্য সহকারী আনিসুজ্জামানসহ ৫ জন। আনিসুজ্জামান বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও জেলার সভাপতি। ৫ মিনিট দেরিতে উপস্থিত হওয়ার অজুহাত তুলে তার সাথে চাকরিবিধি বহির্ভূত চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তাকে চেয়ারে বসতে নিষেধ করে চেয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে কথা বলতে বার বার কড়া ভাষায় নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি এ সময় তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হচ্ছে দাবি করে কিভাবে তারা চাকরি করবেন তা দেখে নেয়ারও হুমকি দেন বলে জানিয়ে স্বাস্থ্য সহকারী আনিসুজ্জামান বলেন, সাপ্লাই নিতে তাদের ৫ জনের মাত্র ৫ মিনিট দেরি হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে টিএইচও তার সাথে চরম অসৌজন্য আচরণ করেন। গালমন্দ করেন। আনিসুজ্জামান আরও বলেন, তিনি ২৬ বছর চাকরি করছেন। আরটিএইচও চাকরি করছেন মাত্র ১১ বছর। বয়সে আনিসুজ্জামান তার অনেক সিনিয়র দাবি করে বলেন, তিনি (টিএইচও) কোনোভাবেই এমন বিশ্রি আচরণ করতে পারেন না। এত বিশ্রি আচরণ চাকরিবিধিমালা পরিপন্থি বলে দাবি করা হয়।
স্বাস্থ্য সহকারী নূর আব্দুল্লাহ, হামজারুল ইসলাম, অহিদুজ্জামান, মাহমুদুল হাসান, হাশেম আলী সকলেই টিএইচও’র আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এভাবে অসন্মানজনক আচরণ করা টিএইচও’র করা উচিত হয়নি বলে তারা উল্লেখ করেছেন।
শিক্ষার্থীকেও এখন আর কোনো শিক্ষক মানসিক কিংবা শারীরিকভাবে আঘাত করতে পারেন না। অথচ টিএইচও কিভাবে একজন স্বাস্থ্য সহকারীকে মিটিঙে চেয়ারের ওপর দাঁড়ানোর নির্দেশ দিতে পারেন? এমন প্রশ্ন করেছেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্বাস্থ্য সহকারী।
অভিযোগ প্রসঙ্গে টিএইচও ডাক্তার মাসুদ রানা জানান, মাসিক মিটিঙে তিনি উপস্থিত থাকার পরও মিটিঙে যোগদান না করে অভিযোগকারী স্বাস্থ্য সহকারী কয়েকজন আন্দোলন করছিলেন। বিষয়টি অসৌজন্যমূলক। সে কারণে তিনি রাগারাগি করেছেন, বকা দিয়েছেন। তবে গালাগালি করেননি। তিনি বলেন, এখানে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র গড়ে উঠেছে। সবকিছু এই চক্রের মনমতো হতে হবে। না হলেই তাদের অসন্তোষ।