চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও হাসপাতাল চত্বরে দিনরাত গরুর অবাধ বিচরণ : বিড়ম্বনায় শহরবাসী

খোঁজ রাখে না কোনো মালিকই : ঘটতে পারে যেকোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা
খাইরুজ্জামান সেতু/আহসান আলম: চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রতিটি সড়কেই গরুর অবাধ বিচরণ। বিশেষ করে কলেজ রোড, এমনকি হাসপাতালের মধ্যেও গরুর অবাধ বিচরণে প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শহরবাসীকে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণের মাথাব্যথা নেই কারোর। রাস্তায় অবাধে ঘুরে বেড়ানো এসব গরুরপাল নিয়ে খোঁদ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ও পুলিশ প্রশাসনেরও বিন্দুমাত্র কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। যে কারণে যেকোনো ধরনের ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। তবে ইতোমধ্যেই অবাধ বিচরণ করা গরু ড্রেনে পড়ে নাকানি-চুবানি খেতে দেখা গেয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরে ব্যস্ততম সড়কগুলোতে কোনো কোনো সড়কে কাজ চলার পাশাপাশি ড্রেন নির্মাণও করা হচ্ছে। জনসংখ্যাও বাড়ছে প্রতিদিনই সব মিলিয়ে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ প্রধান সড়কের পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে কোর্ট পর্যন্ত সড়কটিও দিন দিন ব্যস্ততম হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে এই সড়কেই রাত-দিন সবসময় কিছু মালিকের গরু অবাধ বিচরণ করে থাকে। আর এদের খাবার হচ্ছে রাস্তার পাশে গুরুর খাবার উপযোগী তাই খেয়ে থাকে। তাতে গুরুর খাবার নিয়ে অন্তত চিন্তা করতে হয় না। আর এই করণে একটা সময় সন্ধ্যায় গরুর মালিকরা খোঁজ করে বাড়ি নিয়ে গেলেও এখন আর তাও করতে হয় না। আর গরু চুরি? অসম্ভব! কারণ হিসেবে এলাকার দোকানিরা জানালেন গরু মালিক এসে গলাই দঁড়ি দিয়ে টানলেও যাবে না। সেখান থেকে চোরেরা গুর নিয়ে যাবে। তারা আরও জানান এই গরুর কারণে আমরা প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছি। কখনও দেখা যাচ্ছে গরুর গোবর দোকানে সামনে নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি করছে। আবরা গরু দোকানে সামনে শুয়ে পড়লে তোলা অসম্ভব। গরুর রাস্তা থাকার কারণে মাঝে মধ্যেই ছোট-খাটো দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটরা সম্ভবনা রয়েছে। এদিকে গরু মাঝে মধ্যেই ম্যানহলো ও ড্রেনে পড়ে নাকানি চুবানি খেতে দেখা যায়। অবাক হলেও সত্যি এই উদ্ধারের উদ্যোগ নিতে দেখা য়ায় দোকানিদেরই। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা কলেজের পাশে রুবা ফটোস্ট্যাটের সমানে একটা গরু পড়ে নাকানি-চুবানি খেতে দেখা গিয়েছে। এই সময় রুবা ফটোস্ট্যাটের মালিক রুবা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ডেকে উদ্ধারের উদ্যোগ নেন। অবাক হলেও সত্যি প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে উদ্ধার কাজ করলেও গরুর মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে আর কি কারার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গরু উদ্ধার করে কলেজ রোডেই রেখে যায়। এদিকে চুয়াডাঙ্গার সদর হাসপাতালের ভেতরেও গরুর অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। এতেও হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। একই সাথে ঘটতে পারে যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা।