চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক লীনা ইসলামের ইন্তেকাল

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক লীনা ইসলাম ওরফে কলি আপা আর নেই (ইন্নালিল্লাহে…….রাজেউন)। গতকাল সোমবার তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন।

লীনা ইসলামের পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, তিনি বেশ কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা গুলশান-২ এ তার একমাত্র জামাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. তৌহিদুল হক টুলুর বাসায় অবস্থান করছিলেন। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার গুলশানস্থ মেয়ে-জামাইয়ের বাসায় এ শিক্ষা অনুরাগী সদা হাস্যবদনের মানুষ সকলের প্রিয় লীনা ইসলাম কলি আপা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭২ বছর। চুয়াডাঙ্গা মুক্তিপাড়ার কাজী মোজাহারুল ইসলামের স্ত্রী লীনা ইসলাম ১৯৭২ সালে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে চাকরি জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সুনামের সাথে এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০৫ সালে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই তিনি অবসর গ্রহণ করেন। এ বিদ্যালয় থেকে অবসর নিলেও বিদ্যালয়ের ভালো-মন্দের খোঁজখবর তিনি রাখতেন। যেকোনো অনুষ্ঠানে তিনি সংবাদ পাওয়ামাত্র ছুটে আসতেন। তার মৃত্যু সংবাদ শুনে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বর্তমানে ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল ইসলাম উজ্জ্বল গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, কলি আপার মতো মানুষ হয় না। আমি তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, তার অভিজ্ঞতার সাথে শেয়ার করেছি। তিনি আমাকে অনেক ভালো ভালো উপদেশ দিয়েছেন এবং আমি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাকালে যেকোনো অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিলে তিনি খুব খুশি হতেন। সকল অনুষ্ঠানে তার সরব উপস্থিতি আমাকে মুগ্ধ করতো।

মৃত্যুকালে এ ক্ষণজন্মা শিক্ষা অনুরাগী কলি আপার একমাত্র মেয়ে তানিয়া শারমিন তনু ও একমাত্র ছেলে তৌফিকুল ইসলাম তপুসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায়  চুয়াডাঙ্গা জিনতলা মল্লিক পাড়ার পুরাতন কবরস্থানে মরহুমার জানাজা শেষে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হবে। কলি আপার ছেলে তৌফিকুল ইসলাম তার মায়ের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।