চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছদ্মবেশে দু নারীর ছিনতাইকারী

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শুধু ছদ্মবেশে নারী ছিনতাইকারীরাই ঘুর ঘুর করে না, হরেক কিসিমের প্রতারকই সুযোগের সন্ধানে ওত পেতে অবস্থান করে। চোখের পলকে রোগীর মোবাাইলফোন যেমন চুরি হয়, তেমনই ওষুধ চুরিও করে চোর। আবার হাসপাতালের লোক সেজেও সরলসোজা মানুষের সাথে হরহামেশাই প্রতারণা করে। রোগী ক্লিনিকে নেয়ার বিষয়টিও রয়েছেই। এসব বন্ধে বর্তমান সিভিল সার্জন নানামুখি উদ্যোগ নিলেও এখন পর্যন্ত তেমন প্রতিকার মিলেছে কি?
আনুমানিক ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মাঝে মাঝেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন। চিকিৎসা নেন। মেয়ের বাড়ি জেলা সদরের শাহপুরে ফেরেন। গত শনিবার তিনি সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন। দোতলায় এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বার প্রবেশ করেন। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বের হতেই দু নারী তার হাতে থাকা ব্যবস্থাপত্র হস্তগত করে ওষুধ নিয়ে দেন। এরপরই পাশের একটি স্থানে বৃদ্ধাকে নিয়ে বসিয়ে গায়ে হাত দেয়ার ফাঁকে গলায় থাকা সোনার চেন ছিনিয়ে নেয়। এরপর দু নারী সরে পড়ে। বৃদ্ধ যখন টের পান তার গলায় থাকা সোনার চেন ওই দু নারী ছিঁড়ে নিয়ে ধোরা-ছোঁয়ার বাইরে। ঘটনার একদিন পর সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত চিত্র নিয়ে পুলিশ রাস্তায় নেমেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ আশা করছে, সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবির সূত্র ধরেই প্রতারক ছিনতাইকারীদের নারী সদস্যসহ সকলকে ধরে আইনে সোর্পদ করা সম্ভব হবে। মনে রাখতে হবে চিকিৎসকেরা চিকিৎসা দেবেন, পুলিশ নিশ্চিত করবেন নিরাপত্তা। সমাজপ্রতিদেরও এ ক্ষেত্রে দায়িত্ব অনেক।
শুধু চুয়াডাঙ্গা সদর আধুনিক হাসপাতালে নয়, দেশের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতাল ঘিরেই গড়ে উঠেছে নানা প্রকার প্রতারকচক্র। এদের কেউ করে চুরি, কেউ কেউ রোগীর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পছন্দের ডায়াগনস্টিকে নিয়ে হাতিয়ে নেয় কমিশন। কিছু চিকিৎসকও আছেন তারাও বিশেষ হারে অর্থ পেয়ে থাকেন বলেও শোনা যায়। বরাদ্দকৃত সরকারি ওষুধ চুরির ঘটনাও ঘটছে মাঝে মধ্যে। এসব শক্ত হাতে রুখতে হবে, নিশ্চিত করতে হবে সুচিকিৎসা প্রদানসহ নিরাপত্তা।