চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রোগী নার্সিংহোমে ভাগিয়ে নিয়েও শেষ পর্যন্ত ফেরত!

 

স্টাফ রিপোর্টার: হাসপাতালের রোগী নার্সিং হোমে ভাগিয়ে নিয়েও শেষ পর্যন্ত হাসপাতালেই ফেরত দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আল্ট্রাসনো করাতে গেলে হাসপাতালের চেয়ে ক্লিনিকেই রোগীর ভালো চিকিৎসা হবে বলে প্রভাবিত করে উপশম নার্সিং হোমে নেয়া হয়।

পরে কেন তাকে হাসপাতালে ফিরতে হলো? অন্তঃসত্ত্বা রোগী রিনার স্বামী পারকৃষ্ণপুরের জিয়ারুল ইসলাম বলেছেন, নার্সিং হোমের লোকজন যখন বুঝেছে আমাদের কাছে বেশি টাকা নেই। হাজার খানেক টাকা বিল করিয়ে পরে হাসপাতালে নিতে তারাই পরামর্শ দেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার পারকৃষ্ণপুরের জিয়ারুলের স্ত্রী বিনা (২৫) অন্তঃসত্ত্বা। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসক আল্ট্রাসনো করার পরামর্শ দেন। হাসপাতালের অদূরবর্তী একটি ডায়াগনস্টিকে আল্ট্রাসনো করাতে গেলে পাশে ভেড়ে নার্সিং হোমের লোকজন। তারাই হাসপাতালের বদলে নার্সিং হোমে ভালো চিকিৎসা হবে বলে প্রভাবিত করে। রোগী বিনাকে নেয়া হয় উপশম নার্সিং হোমে। হাজার খানেক টাকা খরচও করতে হয় সেখানে। এরপর রোগীর লোকজন যখন অতো খরচ করা সম্ভব নয় বলে জানান, তখনই রোগীকে হাসপাতালে নিতে পরামর্শ দেয়া হয়। ফলে সন্ধ্যার পর রোগীকে হাসপাতালে ফিরিয়ে নেয়া হয়। হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের কর্তব্যরত সেবিকা বলেছেন, রোগী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আল্ট্রাসনো রিপোট অনুযায়ী সন্তান গর্ভেই মারা গেছে। ফলে গর্ভপাতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নরমালই গর্ভপাত হওয়ার কথা। আমরা সেই অপেক্ষাই করছি।