চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীকে ভুল বুঝিয়ে বাইরে নিয়ে আল্ট্রাসনো : চাপের মুখে টাকা ফেরত দিলেন তুষার

স্টাফ রিপোর্টার: আল্ট্রাসনো, রক্তের গ্রুপ ও আরবিএস পরীক্ষা স্বল্প খরচে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালেই হয়। এরপরও রোগীদের হরহামেশায় ভাগিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ডায়গনস্টিক ও ক্লিনিকে ভাগিয়ে নিয়ে হাতিয়ে নেয়া হয় মোটা অংকের টাকা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক অন্তঃস্বত্ত্বা রোগীকে ভাগিয়ে নিয়ে পরীক্ষাগুলো করিয়ে ৫শ’ টাকা হাতিয়ে নেন। শেষ পর্যন্ত সেই টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে এ্যাপোল ডায়গনস্টিকের অন্যতম স্বত্ত্বাধিকারী তুষার। জনতার চাপের মুখে টাকা ফেরত দেন তিনি।
ঘটনার বর্ণনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়া ছাগলাপাড়ার এক অন্তঃস্বত্ত্বা রোগী চিকিৎসার জন্য তার মাকে সাথে নিয়ে সদর হাসপাতালের গাইনি কনসালটেন্টের নিকট আসেন। গাইনি কনসালটেন্ট ডা. আকলিমা খাতুন রোগীর আল্ট্রাসনো, রক্তের গ্রুপ ও আরবিএস পরীক্ষা করাতে বলেন। প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে রোগী বের হতেই বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা তুষার নামের ওই ব্যক্তি রোগীর পরীক্ষাগুলো ভালোভাবে করিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে যান তার ডায়াগনস্টিকে। রোগীর মা রোগীকে না পেয়ে হয়রান হতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি রোগীকে পেয়ে বিস্তারিত জানার পর চিৎকার করে ওই ডায়াগনস্টিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। অভিযোগের আওয়াজ হাসপাতালের আরএমও’র কান পর্যন্ত পৌছুয়। তিনি পুলিশকে জানিয়ে ওই অভিযুক্তকে খুঁজতে শুরু করেন। না, হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তখন তার আর দেখা মেলেনি। অভিযোগ শুনে কিছু ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হয়ে ওই এ্যাপোল ডায়াগনস্টিকে গেলে তুষার ওই রোগীর নিকট থেকে নেয়া ৫শ’ টাকা ফেরত দেন।
স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ তুলে বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দালালদের উৎপাত পরিলক্ষিত হচ্ছে। মাঝে মাঝে দু একজন হাতে নাতে ধরা পড়লেও দালালচক্রের উৎপাত বন্ধ হয়নি, হচ্ছে না।