চুয়াডাঙ্গা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে আমেরিকাপ্রবাসী হাজি আবুল কাশেম মণ্ডলকে সংবর্ধনা

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: আমেরিকা প্রবাসী মণ্ডল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাজি আবুল কাশেম মণ্ডল বলেছেন,‘চুয়াডাঙ্গা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পরিচালিত চক্ষু হাসপাতালের উন্নয়নে সবসময়ই সাথে রয়েছি। এজন্য অতীতের মতো সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা হবে। হাসপাতালের উন্নয়নে চক্ষু চিকিৎসার জন্য একটি অত্যাধুনিক অপারেশন টেবিল প্রদান করা হবে।’ গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাড. সেলিম উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কার্যনির্বাহী সদস্য পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার ও অ্যাড. শামসুজ্জোহা এসময় বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেনবাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সেক্রেটারি ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত করেন চক্ষু চিকিৎসক ইউনুস আলী। এরপর ইউনিটের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত অতিথি, পৌর মেয়র ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান, যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্য জান্নাতুল নাঈম, সেলিনা আকতার ও ফারজানা আকতার নিশি।

এসময় অন্যান্যের মধ্যেবাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের কার্যনির্বাহী সদস্য হুমায়ুন কবীর মালিক, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর বেগম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, মণ্ডল ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সোহরাব হোসেন, ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন, ইউনিটের উপপরিচালক হায়দার আলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন, আজীবন সদস্য শাহ আলম সনি ও ডা. আব্দুল হাকিমসহ রেডক্রিসেন্টর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার তার বক্তব্যে বলেন,‘আমেরিকা প্রবাসী হাজি আবুল কাশেম মণ্ডল এলাকার উন্নয়নে রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতার পাশাপাশি মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার জন্য বৃত্তি চালু করেন। রেডক্রিসেন্টের দুঃসময়ে যে সহযোগিতা আপনি আমাদেরকে করেছিলেন সেকথা ভুলবার নয়। আপনি চোখের আড়ালে থাকলেও আমরা সব সময়ই আপনাকে স্মরণ করি।’

স্বাগত বক্তব্যে সেক্রেটারি ফজলুর রহমান বলেন,‘সাত বছর আগে রেডক্রিসেন্ট চক্ষু হাসপাতাল উন্নয়নে আপনি যে দু লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন, সেই টাকাসহ আরো কিছু টাকা সংগ্রহ করে প্রায় ৯ লাখ টাকার চক্ষু অপারেশনের জন্য মেশিন ক্রয় করতে সক্ষম হয়। আপনার অনুদানের কথা আমরা আজও কৃতজ্ঞতা চিত্তে স্মরণ করি।’