চুয়াডাঙ্গা বিএনপির পৃথক তিন স্থানে পৃথক আয়োজনে ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

 ঢাকার আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়া

সরকার স্বার্থবিরোধী চুক্তিতে মেতেছে : আমরা ভারতের সাথে বন্ধুত্ব চাই, তবে বাংলাদেশের স্বার্থ বিক্রি করে নয়

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি পৃথক তিন স্থানে পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করেছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তার দলীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করলেও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককদের অংশ শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজনে উৎসবের আমেজ ফুটিয়ে তোলে। এছাড়াও পৃথক একাংশের শোভাযাত্রা সমর্থকদের দৃষ্টি কাড়ে। মেহেরপুরে জেলা সদরে তেমন কর্মসূচি পালনের খবর না পাওয়া গেলেও গাংনীতে পৃথক দুটি স্থানে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালনের খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল ছিলো ১ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি বহুভাগে বিভক্ত হওয়া সকল পক্ষই পৃথকভাবে কর্মসূচি পালনের পৃথকভাবে কর্মসূচি হাতে নেয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস তার দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহিদুজ্জামান বুলা, যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক মজুর নেতৃত্বে ব্যনার ফেস্টুন নিয়ে শোভাযাত্রা জেলা শহর প্রদক্ষিণ করে। শ্রীমন্ত টাউন হলের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। একই স্থানে ফিরে আলোচনাসভায় মিলিত হন। এর আগে সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির সুচনা করা হয়। এছাড়া জেলা বিএনপির সদস্য শরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে সাহিত্য পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়।

অপরদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপি আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অয়োজনে দলের চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সময় হলে আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে। তিনি বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপির ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় বলেন-দেশে গণতন্ত্র ছিলো না, জিয়াউর রহমানই গণতন্ত্র এনেছেন। জিয়াউর রহমান মনে করেছেন, হানাহানি না করে সবাই নিজ নিজ পার্টি করবে। যোগ্য ও ভালো লোককে নিয়ে একটি দল করেছেন তিনি। দুর্বৃত্তপীড়িত দেশে গণতন্ত্রসহ বহুদলীয় গণতন্ত্র আনলেন। সবাইকে সুযোগ দিলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকার যেসব চুক্তি করেছে- করে যাচ্ছে তার সবই দেশের স্বার্থবিরোধী ও জনবিরোধী। তিনি বলেন, ইতঃপূর্বে আওয়ামী লীগ ফারাক্কা ব্যারেজ করেছে। এটি বন্ধুত্ব নয়। এরপর একের পর এক চুক্তি এই সরকার করে গেছে যার একটিও জনগণের জন্য নয়। এখন রামপাল করছে এটিও দেশের পক্ষে বা জনগণের স্বার্থের জন্য নয়। সমস্ত কিছু দেশের স্বার্থবিরোধী। এসব চুক্তির বোঝা একদিন বহন করতে হবে যুব সমাজকে। তারা (সরকার) একেকটা উন্নয়ন প্রকল্প নেয়, আর অর্থ বাড়ে। নেতারা কমিশন খায় এবং টাকা চলে যায় দেশের বাইরে।

খালেদা জিয়া বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে সকল চুক্তি হয়েছে, সেগুলো দেশবিরোধী ও দেশের স্বার্থবিরোধী। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের সাথে বন্ধুত্ব চাই, তবে বাংলাদেশের স্বার্থ বিক্রি করে নয়।’ রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধে আবারও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান খালেদা জিয়া। এ সময় খালেদা জিয়া তার নামে ফেসবুক পেজ, টুইটার অ্যাকাউন্ট, ব্লগ ও ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, আ স ম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান খালেদা জিয়া।

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। ভোরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির শহীদ আবুল কাশেম সড়কস্থ কার্যালয় থেকে ফেস্টুন, পতাকা, পোস্টার নিয়ে একটি ৱ্যালি বের করা হয়। বেলা ১১টার দিকে শ্রীমন্ত টাউন হলে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক মালিক মজুর সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি সদস্য সরদার আলী হোসেন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জেলা ওলামা দলের সভাপতি মো. ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন জেলা জাসাস নেতৃবৃন্দরা।

জেলা বিএনপি সদস্য শহিদুল ইসলাম রতন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতনের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি জেলা সদস্য শহিদুল কাউনাইন টিলু, জেলা বিএনপির সদস্য এম জেনারেল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মন্টু, জেলা সদস্য শেখ শেখ সাইফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবদল সদস্য এমদাদুল হক ডাবু, জেলা জাসাস সভাপতি শহিদুল হক বিশ্বাস, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাবু, জেলা যুবদল সদস্য ইমরুল হাসান জোয়ার্দ্দার মুকুল, আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, জেলা ছাত্রদল সভাপতি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহআপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক শরিফুজ্জামান সিজার।

আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি নেতা রেজাউল করিম মুকুট, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি ইসরাফ আলী, জেলা সদস্য আনোয়ার হোসেন, সুশীল কুমার, লিটন কমিশনার, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মখলেছুজ্জামান মখলেছ, পৌর যুবদল নেতা রবিউল মল্লিক, বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম লিটন, জেলা যুবদল সদস্য আরিফুজ্জামান পিন্টু, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ তালহা, যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদ, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহবুবুল হক খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম আলী, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আইনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান লিটন, রুবেল হোসেন, মোমিনপুর ইউনিয়ন সভাপতি শাহাদৎ মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, লোকমান হোসেন, তিতুদহ ইউনিয়নের মিলন মিয়া, মাসুদ মাস্টার, টোটন মিয়া, আলুকদিয়া ইউনিয়নের ফারুক হোসেন, পদ্মবিলা ইউনিয়নের হাবিবুর রহমান, গড়াইটুপি ইউনিয়নের ডাক্তার আতিয়ার রহমান প্রমুখ। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। সকালে কেদারগঞ্জস্থ কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে ৱ্যালি করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে ৱ্যালি পণ্ড হয়। ফলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড এসএম শাহজাহান মুকুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক এমপি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবি, সদস্য হাবি রবিউল ইসলাম বাবলু, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজি আব্দুল খালেক, পৌর বিএনপির সভাপতি আওরঙ্গজেব বেল্টু,  জেলা আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক জেলা আইজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হেদায়েত হোসেন আসলাম, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খালিম মাহামুদ মিল্টন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুর রশিদ ঝন্টু, আইনজীবী ফোরামের নেতা মানি খন্দকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজি মান্নান, জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক হাফেজ মাহাবুব, জীবননগর উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক প্রমুখ। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি সহসভাপতি এবাদত হোসেন, দফতর সম্পাদক অ্যাড. জিল্লুর রহমান জালাল, সদস্য নূর গনি ছামদানি, পৌর যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক আজিজুর রহমান, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রোকনুজ্জামান, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান লিটন, পদ্মবিলা ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রায়হান কাজল, সহসভাপতি সাজিবার রহমান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক হিমু, তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক মশিউর রহমান মিলন, সেলিম, ওসমান মেম্বার, মোমিনপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি হাবিবুর রহমান শেখন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি একরামুল হক, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মজিদ, বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক আশাবুল হক। জেলা ছাত্রদলের সদস্য সাইফুল ইসলাম সুমন, স্কয়ার বিশ্বাস, আরিফ প্রমুখ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আয়োজনে ব্যাপক উৎসব উদ্দীপনার মাঝে দিনটি পালন করা হয়। গতকাল চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ চত্বরে সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৯টায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। জেলা তরুণ দলের আহ্বায়ক মাবুদ সরকারের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সর্ব প্রথম রক্ত দান করেন সাবেক জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশাদুল হক বটুল। বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গার শহীদ রবিউল ইসলাম সড়কে বর্ণাঢ্য ৱ্যালি রেব হয়। ৱ্যালিটি উল্লেখযোগ্যভাবে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মহিলা দলের কর্মীবৃন্দ দ্বারা ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী বিএনপি লেখা প্লাকার্ড প্রদর্শন। তারপর ৪৫ গজ কাপড়ের তৈরি জাতীয় পতাকা ও ৩৮ গজ কাপড়ের দলীয় পতাকা প্রদর্শন মনোজ্ঞ ব্যান্ড পার্টির বাজনায় ৱ্যালিটি ব্যাপক সাড়া ফেলে। ৱ্যালিটি কোর্টমোড় অতিক্রম করার সময় পুলিশ বাঁধা দেয়। দুপুরের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী থেকে সকলকে শপথ নিতে হবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানে সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবৈধ জালেম সরকারের পতনের আন্দোলনে শরিক হতে হবে। আলোচানাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু আলা সামসুজ্জামান, আবু বকর সিদ্দিক আবু, মহিলা দলের নেত্রী জাহানারা পারভীন, সাবেক জেলা বিএনপির সহসভাপতি হাবিবুর রহমান মঙ্গল, সদর থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক ইউপি চেয়াম্যান নজরুল ইসলাম নজু, জেহেলা ইউপি চেয়াম্যান আমিনুল ইসলাম রোকন, বাড়াদী ইউপি চেয়াম্যান তবারোক হোসেন, খাদেমপুর ইউপি সাবেক চেয়াম্যান শাহ্ জালাল বেনা, গাংনী ইউপির সাবেক চেয়াম্যান রেজাউর রহমান রেজু, কালিদাসপুর ইউপির সাবেক চেয়াম্যান হাসানুজ্জামান হাসান, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি রাফাতুল্লা মহলদার, সদর থানা বিএনপির যুগ্মসম্পদাক মাসুদ মেম্বার, থানা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মুন্সি আলাউদ্দিন, পৌর সহসভাপতি খাইরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পিটু, যুগ্মসম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দফতর সম্পাদক ইয়াসিন হাসান কাকন, জেলা শ্রমিক দলের যুগ্মসম্পাদক মোশারফ হোসেন মোশারফ, জেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মোকারম হোসেন, সাবেক জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সাদিদ, সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক আশাদুল হক বটুল, মাহিলা দল নেত্রী ও পৌর কাউন্সিলার শেফালী খাতুন, মনিরুজ্জামান লিপটন, ইকরামুল হক ইকরা, রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, কুদ্দুস মহলদার, স্বপন জোয়ার্দ্দার, মনোয়ার হোসেন জোয়ার্দ্দার, সৌদি, হাফিজুর রহামন মুক্ত, আনিছুল হক বিশু, মশাল উর রহমান মশাল, ওসমান গণি, বজলুর রহমান, শাহজালাল, বদর উদ্দির বাদল, শামিউল ওয়াহেদ শিমুল, রায়হান উদ্দিন রায়হান, মহসিন, তানভীর আহমেদ কাজল, দিপু, শাহারিন, আলম আলী আলো, মাসুদ রানা আপেল, ইমরুল হাসান ফটিক, শাহ্ আলম, মহসিন মেম্বার, আব্দুল মজিদ মেম্বার, মহিলা নেত্রী সালেহা খাতুন, মহিলা নেত্রী খোদেজা খাতুন, মহসিন, আবু সালেক, সাইদুর, আব্দুস সালাম, হাফিজ উদ্দিন হাবলু, সুমন পারভেজ খান, রোকনুজ্জামান রোকন, মাবুদ সরকার, রুবেল হোসেন, তুহিন ইসলাম, আব্দুস সালাম, সানোয়ার, জেলা ছাত্রদল নেতা আমের আলী, পারভেজ মহলদার, রিন্টু মহলদার, আরিফ আহমেদ শিপলব, শাকিল আহমেদ নাইম, সাহাবুদ্দিন, রকিব মহলদার, সমশের, নিশান সিদ্দিক, মাসুদ রহমান, পান্না, নাজমুল, পিয়াস, রাকিব, সামিউল প্রমুখ। আলোচনাসভা উপস্থাপনা করেন জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনরি দু গ্রুপই পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং কেক কাটা শেষে আলোচনাসভা করা হয়।

আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির হাজি মোড়স্থ কার্যলায়ে আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় পৌর বিএনরি ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইসরাফ হোসেনরে সভাপতিত্বে প্রধান অথিতি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদুল কাউনাইন টিলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য শেখ সাইফুল ইসলাম। জেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য এমদাদুল হক ডাবু, উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হাজি ইফতেখারুজ্জামান লুডু, সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মহির উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হক, বিএনপি নেতা মহিনুল ইসলাম, ডা. আবদুল লতিফ, আবদুল ওহাব, মফিজ উদ্দিন, জমিন উদ্দিন, লিয়াকত আলী, শওকত খান, সিতাব আলী, মহির উদ্দিন, আকরাম হোসেন, জহুরুল, ডা. শাহাজান, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওহিদুল ইসলাম বাবু, মাগরিবুর রহমান, চিনিরদ্দিন, ওহেদ মালেক পান্না, শোয়েব, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জু, রাশেদ, আলাল, জেলা ছাত্রদলের সদস্য শতকত ওসমান, সাগর, জনি, রুবেল, লিটন, জ্যাকি প্রমুখ।

অপরদিকে উপজেলা বিএনপির হাইরোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিকেলে আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় পৌর বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজি মজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসিরুল ইসলাম সেলিম, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল জব্বার, সহসাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আহমেদ সিদ্দীকি, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন রেজা মল্লিক মিল্টন। পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমানের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন প্রচার সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, সহ-গাংঠনিক সম্পাদক আজিবর রহমান, বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন, আইনাল হক, মানোয়ার হোসেন, আবদুর রাজ্জাক রাজা, নুরুল ইসলাম, সোহেল হুদা, মিন্টু, মোমিন,শমসের মবিন, সিরাজুল ইসলাম, ওহিদ, ওয়াদুদ, ঝন্টু প্রমুখ।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় বিএনপির ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি তোফাজ্জেল হোসেনের সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী শাহ, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল হাসান তনু, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান লিপু, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান মালিথা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আশরঅফুল হক বিপ্লব, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বিশ্বাস, নাটুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাসসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি প্রমুখ। এর আগে সকাল ৯টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদা উপজেলা ও দর্শনা পৌর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দর্শনা পুরাতন বাজারের হাজি আবদুর রাজ্জাকের চাতাল চত্বরে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি নেতা মাহবুবুল ইসলাম খোকন। আলোচনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, বিএনপি নেতা রহম আলী, আবদুর রব, আবদুল আলীম, আশরাফুল হক, আবদুল হাই, জিন্নাত আলী, সুলতান মেম্বার, নাফিজ আক্তার, মাসুদ রানা, আবুল কালাম, শহিদুল মোল্লা, নাসির উদ্দিন খেদু, নজির আহম্মেদ, তোফাজ্জেল হোসেন, লুতফর রহমান প্রমুখ।

এদিকে দর্শনা পৌর বিএনপির কার্যালয়ে সন্ধ্যায় আলোচনাসভার সভাপতিত্ব করেন দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজি খন্দকার শওকত আলী। আলোচনা করেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাহারুল ইসলাম, বিএনপি নেতা শফিউল্লাহ, সেলিম উদ্দিন, লুতফর রহমান, পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিরাজ, আনোয়ার হোসেন, আলাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জাহান আলী ও বদিয়ার মোল্লা।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগরে বিএনপির দু গ্রুপ জাঁকজমকপূর্ণভাবে দলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পৃথকভাবে দুগ্রুপ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটা ও আলোচনসভার আয়োজন করে। উপজেলা বিএনপি বাবু খান গ্রুপ পৌরকিন্ডার গার্টেন স্কুল মাঠে ও উপজেলা বিএনপির অপরাংশ অহিদুল বিশ্বাস গ্রুপ নোয়াব আলীর দলীয় কার্যালয়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনাসভায় দল ও দলীয় নেত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করার দৃড় প্রত্যায় নেয়া হয়।

পৌর কিন্ডার গার্টেন স্কুলমাঠে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি শাহজাহান কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান খোকন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান ডাবলু ও সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান  মঈন উদ্দীন ময়েন।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাজান আলী, সাধারণ সম্পাদক বদর উদ্দীন বাদল, উথলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, হাসাদাহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দীন প্রমুখ।

অপরদিকে উপজেলা বিএনপির অপরাংশের সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র হাজি নোয়াব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা হাজি সাইদুর রহমান ধুন্দু। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সাবদার রহমান, পৌর কাউন্সিলর হযরত আলী, সাবেক কাউন্সিলর সামসুজ্জামান হান্নু। বক্তব্য রাখেন রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আহাম্মদ আলী, বাঁকা ইউপি সদস্য হারেজ মিয়া, রুপ মিয়া, বিএনপি নেতা খলিলুর রহমা, রকিবুল ইসলাম বাবু, বিশারত আলী, হাসান, শফি, আবুল হোসেন তোয়া, ছাত্রদল নেতা ফিরোজ, সাইদুর রহমান, বাহার, হাফিজুর, যুবদল নেতা শরিফুল, ইয়াদুল, আক্তার, রয়েল, ফিরোজ, হাসান প্রমুখ। উপস্থাপনায় ছিলেন উপজেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক আনিসুর রহমান শিপলু।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বিএনপির ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল করেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।

দলীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের দুঃসময়ে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিএনপিকে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই দলের প্রতি আকৃষ্ট মানুষগুলো আজ দেশে কারাগারের বন্দিদশার মতো জীবন-যাপন করছেন। এর থেকে উত্তোরণের জন্য দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপি সভাপতি রেজাউল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও আব্দুর রউফ, উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, পৌর বিএনপি সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোরাদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাইলা আরজুমান বানু, উপজেলা যুবদল সভাপতি আক্তারুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বুলবুল। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ইউনিট নেতাকর্মীবৃন্দ।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মেহেরপুর গাংনীর বিএনপি নেতা জাভেদ মাসুদ মিল্টনের উদ্যোগে বিএনপির ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। মিল্টনের নিজ কার্যালয়ে আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর জিয়া পরিষদ সভাপতি আহসান হাবীব বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো, বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল, আবুল হাশেম ফুলচাঁদ, উপজেলা শ্রমিকদল সভাপতি গিয়াস উদ্দীন, কৃষকদল নেতা শহিদুল ইসলাম নাসির, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলফাজ উদ্দীন কালু, ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, যুবদল নেতা সোহরাব হোসেন, জামাল হোসেন, সাইফুল ইসলাম সেলিম, ছাত্রদল নেতা চপল বিশ্বাস, বিএনপি নেতা মাসুদ হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের বক্তারা দেশের বর্তমান সময়কে বিএনপির অস্তিত্বের হুমকি উল্লেখ করে বলেন, এর থেকে উত্তোরণের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তাই ত্যাগী লোকজনকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত সব নির্দেশনা জাভেদ মাসুদ মিল্টনের নেতৃত্বে বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহে বিএনপি’র ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও সকাল ১১টায় স্থানীয় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জেলা বিএনপির সভাপতি মসিউর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, বিএনপি নেতা এসএম মশিয়ুর রহমান, আব্দুল মতলেব মিয়া, জাহিদুজ্জামান মনা, জাহিদুল ইসলাম, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, অ্যাড. এমএ মজিদ, মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুল আলিম, সাজেদুর রহমান পাপ্পু, আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, আরিফুল ইসলাম আনন প্রমুখ।

প্রধান অতিথি মসিউর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠার পর এই ৩৮ বছরে বিএনপি দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিক হওয়ার কারণেই বর্তমান সরকার বিএনপিকে নির্মূল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের মানুষের মন থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের মানুষের মন থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন স্বৈরাচার এরশাদ চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভায় গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করলেও সরকার প্রধান তার বিরুদ্ধে কথা বলেন না। এরশাদ তার কাছে ভাল মানুষ। মইনুল-ফকরুদ্দীনের অবৈধ শাসনামলে হাসিনাকে ৯ মাস জেলে রাখলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন দেশে আজ গণতন্ত্র নেই বলেই ঝিনাইদহ প্রশাসন ৱ্যালি করার অনুমতি দেয়নি।

মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে মহেশপুর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে মহেশপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ভবনে বিএনপির ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম শহীদুল ইসলাম মাস্টারের স্ত্রী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাহানারা নাজনীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুর রহমান, সাবেক এমপি শহীদুল ইসলামের জৈষ্ঠ পুত্র যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি, দফতর সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন খোকন জোয়ার্দ্দার, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন খান, সম্পাদক শাহাজান আলী, ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম ফারুক খান, পান্তাপাড়া ইউপি সভাপতি আবু নোমান, শ্যামকুড় ইউপি সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান বাবলু, উপজেলা যুবদল নেতা মাহফুজুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ এরশাদ আলী প্রমুখ। এছাড়া ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, বিএনপি নেতা অলিয়ার রহমান, মশিয়ার রহমান, আব্দুস সালামসহ পৌর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এসএম লিমন, ছাত্রদলের নাজমুল হক, সোহাগ, রিংকু এবং অঙ্গসংগঠনের উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।