চুয়াডাঙ্গা তিতুদহের আ.লীগ নেতা শুকুর আলী গ্রেফতারে অনেকেরই গাঢাকা : প্রশ্ন উঠেছে সে কি একা দোষী?

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর তিতুদহের আ.লীগ নেতা শুকুর আলী গ্রেফতারের খবর পেয়ে অনেকেই দিয়েছেন গা ঢাকা। প্রশ্ন উঠেছে জালিয়াতির ওই ঘটনায় সে কি একা দোষী? বাকিদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি তুছে এলাকাবাসী। গ্রেফতাকৃত শুকুর আলীকে পুলিশ গতকালই আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

প্রতি বছর ৭ আষাঢ় মেলা বসে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গড়াইটুপি মোকাম তলায়। স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক কোন্দল থাকায় শুরুতেই মেলা নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। অর্ধকোটি টাকার মেলা ইজারা নিয়ে তিতুদহ গ্রামের আব্দুল লতিবের ছেলে ইজারাদার শুকুর আলী পড়ে যান বে-কায়দায়। পুলিশ প্রশান অনুমোদনের বাহিরে কোনো কিছু করতে দিতে নারাজ। লোকশানের হাত থেকে বাঁচতে মেলার অন্যান্য অংশিদাররা শুকুর আলীকে করনিয় বিষয়ে ভাবতে বলে। মেলার অনুমোদন বা কীভাবে স্থানীয় প্রশাসনের ওপর চাঁপ সৃষ্টি করে মেলা চালানো যায় সে পথে হাটতে থাকে শুকুর আলী ও মদদদাতারা। অশিক্ষিত শুকুর আলী মামলার অনুমোদন বাড়াতে ঢাকায় গিয়ে পড়ে দালাল চক্রের হাতে। দালালরা ইংরাজিতে লেখা একটি কাগজ ধরিয়ে দেয় তার হাতে। শুকুর আলী সে কাগজ নিয়ে প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরে জমা দেন। তাতেই ফেঁসে যান তিনি। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ প্রশাসন বাদী হয়ে শুকুর আলীকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনকে আসামি কোরে মামলা করে দেন। সে মামলায় গত শনিবার রাত ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই মাসুদ পারভেজ আ.লীগ নেতা শুকুর আলীকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত শুকুর আলীকে গতকাল আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলে বলেছে এ জালিয়াতির সাথে শুকুর আলী একা জড়িত না। মেলার যারা পার্টারনার ছিলো তারা সকলেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অপরাধী। তাই পুলিশ প্রশাসনের নিকট এলাকাবাসীর জোর দাবি সবাইকে আইনের আওতায় আনার। এদিকে শুকুর আলীর গ্রেফতারের সংবাদে মেলার পাটনারসহ অনেকেই দিয়েছে গা ঢাকা।