চুয়াডাঙ্গা জোনে তুলা চাষের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএআরসি চেয়ারম্যান : প্রতিযোগিতামূলক চাষাবাদের মধ্যে চাষিরা আগ্রহ নিয়ে তুলাচাষ করেছেন

????????????????????????????????????

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জোনে সম্ভাবনাময় তুলা চাষের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা পরিষদের (বিএআরসি) চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা জোনের অধীন বেশ কয়েকটি তুলাক্ষেত পরিদর্শন শেষে তিনি ইতিবাচক অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক চাষাবাদের মধ্যে তুলাচাষিরা যে আগ্রহ নিয়ে তুলাচাষ করেছেন, তাতে তারা ধন্যবাদ পেতেই পারেন।

পরিদর্শনকালে বিএআরসি’র চেয়ারম্যানের সাথে ছিলেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন. যশোর রিজিওয়নের উপপরিচালক জাফর আলী, চুয়াডাঙ্গা জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল কবীর ও তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন ।

বিএআরসি’র চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদসহ প্রতিনিধিদলটি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের দৌলাতদিয়াড় গ্রামের তুলা ক্ষেত পরিদর্শন করতে গেলে স্থানীয় কৃষক আবুল হোসেন মণ্ডল ও আবুল হাশেম তুলা চাষ নিয়ে তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা বলেন। ওই দু তুলাচাষি কর্মকর্তাদেরকে জানান, পাঁচ বছর আগে প্রতিমণ তুলার দাম ২ হাজার ৮০০ টাকা হলেও গত বছর ১ হাজার ৯০০ থেকে ১ হাজার ৯২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতিবছর এভাবে দাম কমতে থাকায় চাষিরা ক্রমশ নিরুৎসাহিত হবে। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন তুলাচাষিদেরকে আশ্বস্ত করেন, জিনারদের সাথে আলোচনা করে সর্বোচ্চ দাম দেয়ার চেষ্টা করা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক বাজারদরের সাথে সমন্বয় করে তুলার স্থানীয় বাজারেও দাম ঠিক করা হয়। তুলা উন্নয়ন বোর্ড চুয়াডাঙ্গা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মরসুমে চুয়াডাঙ্গা জোনে ২ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে তুলাচাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। অর্জন হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর।