চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলায় বোরো রোপণ শেষ : লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি : পরিচর্যা শুরু

খরচ কমাতে ও ফলন বাড়াতে গুটি ইউরিয়ার ব্যবহার বৃদ্ধি

মো. শাহাবুদ্দিন/শরিফ রতন: চুয়াডাঙ্গা জেলায় চলতি বোরো চাষ মরসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ব্যাপকহারে ভুট্টার আবাদ হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর অফিসসূত্র জানা যায়, চলতি বছর ৩৬ হাজার ৭১৪ হেক্টর জমিতে বোরোচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আবাদ হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১৩ হাজার ৫০০ হে. জমিতে, সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৪৯০ হে. জমিতে, জীবননগর ৫ হাজার ৫০ হে. জমিতে ও দামুড়হুদা উপজেলায় ৭ হাজার ৫৬০ হে. জমিতে আবাদ হয়েছে। ৩ হাজার ৬৬৪ হে. জমিতে বোরো আবাদ কম হয়েছে। উৎপাদান লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পার হে. ৩.৫০ মে. টন। উৎপাদন বাড়াতে চাষিদের মধ্যে গুঁটি ইউরিয়া সার ব্যবহার বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চাষিরা ধানে ব্যাপক পরিচর্যা শুরু করেছেন। গত ৩ বছরের তুলনায় এ বছর গুঁটি ইউরিয়া সারের ব্যবহার বেশি হবে। এছাড়া সারিবদ্ধভাবে ধান রোপণ ও পোকামাকড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পার্সিং পদ্ধতি ব্যবহার করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এতে করে চাষিদের উৎপাদন খরচ কম ও ফলন বৃদ্ধি পাবে। গত ৩/৪ বছর ধরে চাষিদের বোরো আবাদ করে ব্যাপকভাবে লোকসান গুনতে হয়েছে। এরই কারণে বোরো আবাদ কমিয়ে ভুট্টাআবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের চাষি আশরাফুল হক জানান, গত বছর ৭ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছিলো লাভের মুখ দেখতে না পেয়ে লোকসান গুনতে হয়েছে। তাই এ বছর ওই জমিতে গমের আবাদ করেছেন। কানাইডাঙ্গা গ্রামের সামসুল আলম জানান, গত বছর ৪ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছিলো এ বছর তিনি ২ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছে। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কৃপাংষু শেখর বিশ্বাস জানান, চলতি বছর বোরো চাষ মরসুমে চাষিরা ধান রোপণ শেষ করেছেন। ভালো ফলনের জন্য গুঁটি ইউরিয়া ব্যবহার পার্সিং পদ্ধতি সারিবদ্ধভাবে ধান রোপণসহ নানা পারামর্শ কৃষকদের দেয়া হয়েছে। প্রতিকুল আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধানের ভালো ফলন হবে।