চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের নামে প্রতারণা

রাহাজ্জান টুটুলকে রিমান্ড শেষে জেলহাজতে প্রেরণ
স্টাফ রিপোর্টার: প্রতারক রাহাজ্জান টুটুলকে রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করে আবারও রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দু’দিনের রিমান্ডে নেয় সদর থানা পুলিশ। রিমান্ডে সে প্রতারণা করার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কেদারগঞ্জ নতুন বাজারের প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স নামে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান অফিস ভাড়া নেয়। এরপরে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন পদে পার্ট-টাইম ও ফুল টাইম কাজের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। চাকরির জন্য আবেদন করেন বেশ কিছু ছেলে-মেয়ে। আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রোটেক্টিভের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক যশোর কোতোয়ালী থানার কাশেমপুরের রাহাজ্জান টুটুল, পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুরের এনামূল হক, আবুবকর ছিদ্দিক, একই জেলার সাবদারপুরের মফিজউদ্দিন ও কাশেমপুরের ইমরান খান ৩৫ জনকে নিয়োগ দেয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি। এরই মঝে নিয়োগপ্রাপ্ত এক কলেজ ছাত্রের সন্দেহ হলে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের ওয়েব সাইটে ঢুকে তথ্য নিয়ে জানতে পারে চুয়াডাঙ্গায় এ কোম্পানির কোনো শাখা নেই। তারপর চাকরির জন্য টাকা দেয়া ব্যক্তিরা বুঝতে পারে তাদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। একপর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা রাহাজ্জান টুটুলের কাছে গিয়ে টাকা ফেরত চায়। এ সময় টুটুল অভিযোগ স্বীকার করে টাকা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তার পরিবারের লোকজনও টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। টাকা না দেয়া পর্যন্ত অফিসেই টুটুলের কাছে অবস্থান নেন নিয়োগপ্রাপ্তরা। ওইদিন রাতেই অফিসের দরজা নক করে একদল যুবক নিজেদেরকে যশোর থানার পুলিশ পরিচয় দিয়ে অবস্থানকারীদের মারধর করে টুটুলকে নিয়ে যায়। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়। প্রতারণার স্বীকার হওয়া এক যুবক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। একপর্যায়ে যাশোর জেলার কাশিমপুর গ্রামের মন্টু মোল্লার ছেলে রাহাজ্জান টুটুলকে গ্রেফতার করে যশোর পুলিশ। পরে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে আদালতে প্রেরণ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি অপারেশন আমির আব্বাস ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। গত বৃহস্পতিবার রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করে আবারও ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, রাহাজ্জান টুটুল টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার সিনিয়র পদে যারা ছিলো টাকা তাদের নিকট দিয়েছি। আমার কাছে কোনো টাকা নেই।