চুয়াডাঙ্গা কাথুলীতে বিয়ে বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ইমাম ও মেয়ের দাদাকে জেল-জরিমান

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা কাথুলী গ্রামে বাল্যবিয়ে পড়ানোর অভিযোগে স্থানীয় ইমাম হাফেজ আপিল উদ্দীন ও মেয়ের দাদা ফজলুর রহমানকে জেল-জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মামুন উজ্জামান।

ভ্রাম্যমাণ আদালতসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কাথুলী গ্রামের আশাবুলের মেয়ে রেহেনা খাতুনকে গতপরশু মঙ্গলবার বাল্যবিয়ে দেয়া হয়েছে। এ অভিযোগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মামুন উজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় বিয়ে পড়ানোর অভিযোগে কাথুলী জামে মসজিদের ইমাম ও কাথুলী গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে হাফেজ আফিল উদ্দীনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এদিকে বাল্যবিয়ের আয়োজন করার অভিযোগে মেয়ের দাদা কাথুলী গ্রামের মৃত জারমান মণ্ডলের ছেলে ফজলুর রহমানকে ১ হাজার টাকা জরিমান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। রায় দেয়ার পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জানান, কাথুলী জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল করিম চলতি বছরের ১৩ মার্চ ইমাম, কাজী, মোয়াজ্জেম কোনো প্রকার বাল্য বিয়ে পড়াবেন না এবং সহযোগিতা করবেন না এমন শপথ গ্রহণ করার পরও ইমাম আব্দুল করিম বিয়ে পড়ানোয় তাকে সাজার পরিমাণ বেশি দেয়া হলো। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ কেউ না করেন।