চুয়াডাঙ্গায় স্বপ্নের পৌরপশু হাট জমে উঠেছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা হাটের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ঘোড়ামারা ব্রিজ সংলগ্ন পৌর পশুহাট জমে উঠেছে। আগামীকাল রোববার ঈদের আগের হাটটি আরো জমবে বলে আশা করছে হাট সংশ্লিষ্টরা। বিগত ৩ হাটে বেচা-বিক্রি ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছে হাট কর্তৃপক্ষ। হাটে বেশি চমক সৃষ্টি করেছে কম মূল্যে হাসিল আদায়, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, বৈদ্যুতিক আলো এবং ছায়া বেষ্টনি মেহগনি গাছের সুশিতল বাতাস।

সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু পৌর পশু হাটটির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দিন থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে  গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া নিয়ে হাটে ভিড় জমায় পশুপালনকারী ও নামকরা ব্যাপারীরা। ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফরিদপুর, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও স্থানীয় ব্যাপারীরা আসতে থাকায় হাটের গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে। রোববারের হাটের কারণে সোনালী ব্যাংকের সহযোগিতায় জাল টাকা শনাক্তকরণ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের তদারকী, চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা মহাসড়কের সাথে, রেলপথ ও বাস যোগাযোগ ভালো এবং হাটের সাথে সংশ্লিষ্টরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি পুলিশসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা হাটের দিনে হাট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে।

এক সময়ে পৌর এলাকার তালতলা ও বর্তমান পশুহাটের জায়গায় হাটটি চালু হলেও বিভিন্ন কারণে তা স্থায়ীত্ব হয়নি। পূর্বের ভুলগুলো চিহ্নিত করে বর্তমান পৌর পরিষদ নতুন করে এলাকাবাসীর কল্যাণে হাটটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে। গত ২১ আগস্ট থেকে প্রতি রোববার সকাল ১০টা থেকে রাত পর্যন্ত হাটটি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এখানে বৈদ্যুতিক আলো ও জেনারেটর সুবিধার কারণে হাটের গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে। এলাকাবাসী বাড়িয়েছে সহযোগিতার হাত। এলাকাবাসী, চাষি, ব্যাপারী ও পৌর পরিষদ আশা করছে ভবিষ্যতে এ হাটটি খুলনা বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বড় হাটে পরিণত হবে। তখন এই এলাকার গুরুত্ব যেমন বাড়বে, তেমনি রাস্তার দুধারের জমিতে স্থাপনার সংখ্যা বেড়ে যাবে।

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মুন্সি রেজাউল করিম খোকন জানান, পৌর পরিষদের স্বপ্ন হাটটি প্রতিষ্ঠিত হোক। আগে হাট থাকলেও তা চালু রাখতে পারেনি কেউ। পৌর এলাকায় কোনো পশু হাট না থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই এলাকাবাসীর চাহিদা ছিলো পশুহাটের। সেদিক বিবেচনা করেই বর্তমান পৌর পরিষদ হাটটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পশুহাটটি এগিয়ে নিতে পৌরবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।