চুয়াডাঙ্গায় মাদকবিরোধী অভিযান ও প্রচারণা মাসের উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার: ‘এসো নেশা ছেড়ে কলম ধরি মাদক মুক্ত জীবন গড়ি, মাদক থেকে দূরে থাকুন জীবনকে উপভোগ করুন’ স্লোগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় মাদকবিরোধী অভিযান ও প্রচারণা মাস উদ্বোধন ও র্যা লি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসন ও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বেলুন উড়িয়ে মাদকবিরোধী অভিযান ও প্রচারণা মাসের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে পার্শবর্তী দেশ ভারত থেকে মাদক এ দেশে আসে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, মাদকাসক্ততার সাথে অশিক্ষিতের চেয়ে শিক্ষিত মানুষই বেশি জড়িত। আমাদের দেশে অশিক্ষিত মানুষ মাদকের সাথে সম্পৃক্ততার হার কম, বরং স্বল্প শিক্ষিত ও শিক্ষিত সমাজের লোকেরাই বেশি হারে মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। তাদেরকে আসামি হিসেবে ধরে সাজা দিতে হয়, জেল-জরিমানা করতে হয়। যার সাথে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আসক্ত হয়। তাই যুবসমাজ ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই এ মাদকবিরোধী আন্দোলনে স্বোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মাদকের চোরাচালান ও অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনের লক্ষ্যে জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড জানুয়ারি মাসকে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান ও প্রচারণা মাস হিসেবে ঘোষণা করে। পরে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যা লি বের করা হয়। র্যা লিটি শহিদ হাসান চত্বর প্রদক্ষিণ করে আবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ফিরে শেষ হয়। রযা লিতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রাজ্জাক, সহকারী কমিশনার ফারজানা খানম, সৈয়দা নাফিজ সুলতানা, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আসলাম হোসেন, পরিদর্শক মিলন মুখার্জি প্রমুখ। এছাড়া সরকারি ভি.জে ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা র্যা লিতে অংশগ্রহণ করে।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষক অভিভাবক সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মুত্তালিব সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস বাদ র্যা লি করা বেমানান। বছরের যদি প্রতিটি র্যা লিতে ছেলে মেয়েদের ডাকা হয় তাহলে লেখাপড়ার মান কতোটা ব্যাহত হতে পারে তা ভেবে দেখেছেন কেউ? এছাড়া মাদকদ্রব্যবিরোধী অভিযান ও প্রচারণার র্যা লিতে কাদের আসার কথা? কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নাকি তাদের অভিভাবকদের? কারণ অভিভাবকরাই মাদক সেবন করে থাকেন।