চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গায় আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ২৫ মার্চের গণহত্যা দিবসের কর্মসূচিও গ্রহণ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় সভাগুলো। সভায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসগুলো পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরজাহান খানম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াশীমুল বারী, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত মান্নান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, সহকারি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমান, জেলা তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আলী, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের সহকারি পরিচালক মাসুম আহমেদ, শিশু একাডেমির কর্মকর্তা আফসান ফেরদৌসী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক ও আবু হোসেন, ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ডা. জিন্নাতুল আরা, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলী ও চুয়াডাঙ্গা সাংবাদিক ইউনিটের সভাপতি অ্যাড. রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন দফতরের সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে উপলক্ষে ১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধির জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অভিজ্ঞতা বিনিময়, গণহত্যার ওপর দূর্লভ আলোকচিত্র প্রদর্শন, বাদ জোহর মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সুবিধামতো সময়ে প্রার্থনা। জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বেলা ১০টায় আলোচনা সভা, গীতি নাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাত ৯ টায় ১মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ ব্লাক আউট কর্মসূচি রয়েছে। তবে কেপিআই ও জরুরি বিভাগ এ কর্মসূচির বাইরে থাকবে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আগামী ২৪ মার্চ দর্শনা রেলগেট হতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। একই দিনে বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৬ মার্চ উপলক্ষে সড়ক ও সড়ক দ্বীপ সাজানো হবে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে ৭টায় পুরাতন স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১১টায় শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা। বেলা সাড়ে ১২টায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। দুপুরে সদর হাসপাতাল, জেলা করাগার, সরকারি শিশু সদন ও অন্ধ স্কুলে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বাদ জোহর মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনা। বেলা ৩টায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। পুরাতন স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া কাবাডি খেলার আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।
১৭ মার্চ দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত শোভাযাত্রা, পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ৭ মার্চে ভাষনের ওপর রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন ও দেয়ালিকা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। চুয়াডাঙ্গা শিশু সদনে দুপুরে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বাদ জোহর মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনা।
জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, গুরত্বপূর্ণ এ দিবসগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হবে। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অনুষ্ঠানগুলো সফল করতে সকলের সহযোগিতা আশা করবো।
পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হবে। এজন্য যা যা করার দরকার করা হবে। জাতীয় চেতনার সাথে জড়িত সাধারণ জনগণের সহযোগিতা প্রত্যাশা করবো।