চুয়াডাঙ্গায় দৌলতগঞ্জ ও মাজদিয়া স্থলবন্দর কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান

 

স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দৌলতগঞ্জ ও ভারতের মাজদিয়া স্থলবন্দর পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দরের বিদ্যুত সংযোগ, রাস্তা মেরামত এবং ভারতীয় বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন পরিচালক লে. কর্ণেল এস.এম. মনিরুজ্জামান, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আঞ্জুমান আরাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়া, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাফিজ, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা, সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী রফিকুর রহমান খান, কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইফতেখারুল ইসলাম ও সোনালী ব্যাংকে কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ।

আলোচনা শেষেমজিবর রহমানকে সভাপতি ও আব্দুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ত্রিবার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটির ১১ সদস্য বিশিষ্ট নবগঠিত সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের শপথবাক্য পাঠ করান বন্দর পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন।

কমিটির অন্যান্যরা হলেন-সিনিয়র সহসভাপতি জীবননগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী ও সহসভাপতি হাবিবুর রহমান, সহসাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুদ্দোহা মল্লিক হাসু, অর্থসম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান, দফতর সম্পাদক খলিলুর রহমান, বন্দর বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল বাশার, নির্বাহী সদস্য হাকিমুজ্জামান হিরণ ও এমএ ওয়াদুদ।সভায় এ নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দুদেশের মধ্যে আলোচনা ও বন্দর চালু করার বিষয়ে সুপারিশ পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতাপূর্ব সময়ে দেশের অন্যতম স্থলবন্দর দৌলতগঞ্জের কার্যক্রম ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়। দুদেশের ব্যবসায়ী ও সরকারের উদ্যোগে গত বছরের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ সরকার এটি পূণরায় স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ অংশে অবকাঠামোগত সকল সুবিধা এরই মধ্যে সম্পন্ন হলেও ভারত পিছিয়ে রয়েছে।