চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত : আগুনের উষ্ণতা নিতে গিয়ে দগ্ধ দু নারী

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র শীত থেকে স্বস্তি পেতে আগুনের উষ্ণতা নিতে গিয়ে অসতর্কতায় ঝলসে গেছেন দুজন নারী। একজন নারী বাড়ির নিকটস্থ রাস্তার পাশের আগুন তাপাতে গিয়ে পরনের শাড়ীতে আগুন লাগে। অপরজন রান্নার সময় উষ্ণতা নিতে গিয়ে পরনের পোশাকে আগুন লেগে ঝলসে যায়। অগ্নিদগদ্ধ দু নারীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরসূত্রে জানা গেছে, গতকাল চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনি¤œ ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। পরশুদিনও ছিলো চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনি¤œ তাপযমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন দেশের সর্বনি¤œ   ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৮ রেকর্ড সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও ওইদিন চুয়াডাঙ্গায় ছিলো ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনি¤œ তাপমাত্রা যেমন তরতর করে নামছে তেমনই সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও নেমেছে ২৫ ডিগ্রির নিচে। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এলে শীতের তীব্রতা অসহনীয় হয়ে ওঠে। এবারের শীত মরসুমে চলতি সপ্তাহের শীতের তীব্রতাটাই প্রথম। এর আগে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার পূর্বাভাস দিলেও তা সরে ভারতের চেন্নায় আঘাত হানে। ফলে এপার বাংলা ওপার বাংলা শীতের মধ্যে বৈরি আবহ্ওায়া থেকে কিছুটা রক্ষা পেলেও নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশার প্রভাবে সকাল থেকে সূর্য্যরে মুখ দেখা ভার হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সকলে ও বিকেলে সুর্য্যরে আলো মৃয়মান হয়ে আসার সাথে সাথে শীত যেনো জেকে বসছে। শীতের তীব্রতা থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে খড়কুটো কুড়িয়ে আগুন ধরিয়ে উষ্ণতা নেয়ার রেওয়াজ গ্রামবাংলায় অতিব পুরাতন। শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে অনেকেই অসাবধনতায় পুড়ে তীব্র যন্ত্রণায় কাতরিয়েছে। গতকালও চুয়াডাঙ্গার পৃথক দুটি গ্রামে দু নারীর অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুন্দিপুরের মৃত আব্দুর রহীম শেখের স্ত্রী নূর বানু কাতুন ৯৬৫) গতকাল বুধবার বেলা ১২টার দিকে বাড়ির পাশের রাস্তার ধারে আগুনধরিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেলেন। পিছ ফিরে আগুন পোহাতে গেলে পরনের শাড়ীতে আগুন লেগে যায়। ঝলসে জান তিনি। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক ডা. কানিজ নাইমা বলেছেন, নূর বানু খাতুনের শরীরের নি¤œাংশে ১৫ শতাংশ আগুনে ঝলসে গেছে। অপরদিকে জেলা সদরের সরিষাডাঙ্গা গ্রামের মৃত কামাল উদ্দীনের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন (৪৫) গতকাল দুপুরে চুলার পাশে ছিলেন। রান্না করার পাশাাশি আগুনের উষ্ণতা নেয়ার সময় তারও পেছন থেকে শাড়ীতে আগুন লেগে যায়। আগুনে শরীরের ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। আম্বিয়া খাতুনকেও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।