চুয়াডাঙ্গায় জেলা পর্যায়ে কিশোর-কিশোরী সম্মেলনে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস

 

শৈশব থেকে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জেলা পর্যায়ে কিশোর-কিশোরী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা ক্লাবে সংগঠিত করে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষমতায়ন কর্মসূচির আওতায় যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদফতর। ’আঠারোর আগে বিয়ে নয়, সকল শিশু কয়, নিজের পায়ে দাঁড়াবে তারা, বিশ্ব করবে জয়’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়। পরে আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, ঢাকা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের সহকারী পরিচালক জামাল উদ্দিন ভূইয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নুরুন নাহার কাকলী, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্ত প্রমুখ। প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, শৈশব থেকেই কিশোর-কিশোরীদের মাঝে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। তাহলে ইভটিজিং এর মত ঘৃণ্য কাজ থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হবে। ইভটিজিংয়ের জন্য আর কোনো নিষ্পাপ শিশুকে জীবন দিতে হবে না। কিশোর-কিশোরীদের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতার সম্পর্ক স্থাপন করে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সারাদেশে কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, ক্লাবের উদ্দেশ্য হলো জীবনমান উন্নয়ন, অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারী-পুরুষ বৈষম্যহীন ও পারস্পরিক সুরক্ষামূলক সমাজ গঠনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা, বাল্যবিয়ে, যৌন হয়রানি রোধকল্পে সচেতনতা সৃষ্টি, যৌতুক বিরোধী সচেতনতা তৈরি, ঝরে পড়ার হার কমানো ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সেবা প্রদান করা

জেলার ৩৪টি ইউনিয়নের কিশোর কিশোরীরা অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে যৌতুক, ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে, যৌন নির্যাতন ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজি প্রতিরোধ গড়ে তোলার শপথ পাঠ করানো হয়। সম্মেলনে জেলার প্রায় দু শতাধিক কিশোর-কিশোরী সম্মেলনে যোগ দেয়। এ ছাড়া সম্মেলন উপলক্ষে দিনব্যপী খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কুইজ প্রতিযোগিতাসহ বিভন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।