চুয়াডাঙ্গায় জমি ও বাড়ি ফেরত এবং হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে অসহায় এক গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জের আরশেদ আলী কালুর ষড়যন্ত্রের কবল থেকে স্বামীর ভিটে রক্ষার জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন অসহায় গৃহবধূ মীর রেজিনা সুলতানা আবেদীন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার কেদারগঞ্জ সিঅ্যান্ডবিপাড়ার মরহুম ইঞ্জিনিয়ার জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী মীর রেজিনা সুলতানা আবেদীন লিখিত সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, তার স্বামী জয়নাল আবেদীন ১৯৮৫ সালে হাটকালুগঞ্জের আরশেদ আলী কালু ও তার স্ত্রী বেগম সাহেরা খাতুনের নিকট থেকে নগদ মূল্যে ৩টি রেজিস্ট্রার খোসকবলা দলিলে সাড়ে ৬ শতক জমি কেনেন। ওই জমির ওপর হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের ঋণে নির্মাণাধীন একতলা বাড়ি ও ৩ লাখ টাকার ঋণ ও ১টি রেজিস্ট্রার্ড খোসকবলা আমমোক্তারনামা দলিলে কেনেন। মোট ৪টি দলিলে বাড়ি ও জমি কেনাসূত্রে মালিকানায় দখলিকার হয়ে নিজ অর্থে দ্বিতল ভবন নির্মাণ ও পাশাপাশি হাউজ বিল্ডিং ঋণ দু লাখ ৪০ হাজার টাকা টাকা পরিশোধ করেন। প্রায় ৩১ বছর দখলে থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল জয়নাল আবেদীন ইন্তেকাল করেন। সিঅ্যান্ডবিপাড়া কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, জয়নাল আবেদীন অসুস্থতার কারণে ২০০৩ সাল থেকে কিছু কিস্তি খেলাপি হন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জমি ও বাড়ির সর্বস্বত বিক্রেতা আরশেদ আলী কালু হাউজ বিল্ডিং করপোরেশনের কুষ্টিয়া অফিসের সাথে যোগাযোগ করে জমি ও বাড়ি নিলামে বিক্রিতে উদ্ধুব্ধ করে। হাউজ বিল্ডিং জয়নাল আবেদীনকে না জানিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে শুধুমাত্র ঋণ মঞ্জুরিপত্রে আলীর নাম থাকায় উভয়পক্ষ ষড়যন্ত্র করে জয়নাল আবেদীনের অগোচরে শেষ সম্পদ হাতিয়ে নিতে নিলামে বিক্রি করে। স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জানতে পেরে জয়নাল আবেদীন আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত নিলাম রদ করে নিলাম ক্রেতার টাকা ফেরত দেয়ার আদেশ দেন।

এছাড়া আরশেদ আলী কালু বিভিন্নভাবে একের পর এক হুমকি দিয়ে চলেছেন। মোবাইলের মাধ্যমে হুমকি দিয়েছেন। আরশেদ আলী কালুর হাত থেকে বাঁচতে ও জমি ও বাড়ি ফেরত পেতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মীর রেজিনা সুলতানা আবেদীন।