চুয়াডাঙ্গায় কিশোরদের সাঁতার শেখানোর একটি ব্যবস্থা হতে যাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পূর্ণাঙ্গ সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অর্থাৎ সুইমিং পুল না হলেও শিশু-কিশোরদের সাঁতার শেখানোর একটি ব্যবস্থা অচিরেই শুরু হতে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানের জায়গা গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় পরিদর্শন করলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোর্য়ার্দ্দার ছেলুন। সৃষ্টিশীল কাজের উদ্যোক্তা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুনউজ্জামানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আসাদুল হক বিশ্বাস ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান সরকারি কলেজ চত্বরের পরিত্যক্ত পুকুরটি পরিদর্শন করেন। পুকুরের চারপাশে বাউন্ডারি দিয়ে সেখানে ৩টি স্তরে বয়স ভিত্তিক শিশু-কিশোরদের সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এ কাজের রূপকার কেএম মামুনউজ্জামান বলেন, ৩টি স্তরে সুইমিং পুলের আদলে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে উচ্চতা অনুযায়ী ৩টি চৌবাচ্ছা তৈরি করা হবে। যেখানে প্রথমটিতে ৮-১০ বছরের শিশুরা সাঁতারের বেসিক নিয়ম-কানুন আয়ত্ত করবে। দ্বিতীয়টিতে ১১-১৩ বছরের কিশোররা এবং তৃতীয়টিতে ১৪-১৭ বছরের কিশোর-কিশোরীরা সাঁতার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে। এ চৌবাচ্চাগুলোয় পানি ইনকামিং-আউটগোয়িঙের ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে লাইফ সাপর্টের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম, ড্রেসিংরুম, অভিভাবকদের বসার জায়গা। সাঁতার শেখানোর জন্য থাকবেন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রশিক্ষকরা। সরকারি কলেজের ছায়াঘেরা এ পুকুরটি পরিদর্শন করতে গিয়ে হুইপ এ কাজের মূল উদ্যোক্তা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এ কাজের বিভিন্ন ভালো দিকের কথা জেনে এ কাজ গতিশীল করার জন্য সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। হুইপ সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গার একজন বিশিষ্ট ডাক্তারের সাবালক সন্তান পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার কথা দুঃখভারে উল্লেখ করে বলেন, চুয়াডাঙ্গার প্রায় ৯০ শতাংশ ছেলে-মেয়ে সাঁতার জানে না। আমাদের সন্তানদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণটি প্রদান করা না হলে বা সাঁতার না শেখালে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না। তাই সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি মাইলফলক হবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি এ গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহযোগিতার জন্য চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ কর্তপক্ষকে আহ্বান জানান। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস দীর্ঘক্ষণ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করেন। শিক্ষকবৃন্দ সার্বিক সহযোগিতার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। তারা বলেন, এটি হলে আমাদের সন্তানরাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রশিক্ষণটি গ্রহণ করার সুযোগ লাভ করবে।

সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জায়গা পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক রহমত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাসুদউজ্জামান লিটু বিশ্বাস, জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি রুবায়েত বিন আজাদ সুস্থির, সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহযোগী উদ্যোক্তা সাংবাদিক ইসলাম রকিব প্রমুখ।   mp selun