চুয়াডাঙ্গায় ওষুধ শিল্পে নিয়োজিত প্রতিনিধিদের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার: বেতনের যুক্তিসংগত একটি নুন্যতম সীমা নির্ধারণ করা, নুন্যতম সীমার নিচে কোনো কোম্পানি বেতন দিতে না পারা, কথায় কথায় চাকরিচ্যুত না করা, বাজার দরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে টিএ ডিএ দেয়া, ব্লাংক চেক বা মূল সার্টিফিকেট জমা না নেয়া, সব কোম্পানির উৎসব বোনাস এবং প্রফিট বোনাস দেয়া, সাপ্তাহিক ছুটিসহ সকল সরকারি ছুটি কার্যকর করা, সব কোম্পানিতে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুয়েটি চালু করা, মোটরসাইকেল পলিসি প্রতিনিধি বান্ধব হওয়া, সেলস এবং মার্কেটিং বিভাগ আলাদা রাখা, মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং ভাতা প্রদান, প্রত্যেক প্রতিনিধির জন্য ইন্সুরেন্স করে দেয়া, ফোর পিসহ সবধরনের এনজিও সার্ভে এবং প্রেসক্রিপশনের ছবি তোলা বন্ধ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের (ফারিয়া) কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণা অনুযায়ি মানববন্ধন কর্মসূচির পালন করে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের হাসান চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মানববন্ধনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফারিয়ার প্রধান উপদেষ্টা চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। আরও বক্তব্য রাখেন ফারিয়ার সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাফিজ উদ্দীন হাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনছুর আহমেদ, ম্যানেজার ফোরামের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুকুল, সাধারণ সম্পাদক শফিউল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিসহ আরও অনেকে। বক্তারা বলেন, ওষুধ শিল্প আজকের এ অবস্থানে আসার পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি আমরা মার্কেটিংয়ে নিয়োজিত ২ লাখ ৩০ হাজার প্রতিনিধি। আমাদের দিনরাত পরিশ্রমের ফসলই আজকের বিশ্ব দরবারে ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের আধিপত্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আজ আমরাই অবহেলিত, নির্যাতিত। আমরা ন্যায্য বেতন পাই না, সরকারি ছুটি পাই না। আমরা যারা প্রতিনিধি আছি আমাদের চাকরির কোনো নিতিমালা নেই। বক্তারা বলেন, আমরা যে আন্দোলন শুরু করেছি, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দলোন থেকে দুরে সরে যাবো না।