চুয়াডাঙ্গার রাঙ্গিয়ারপোতা স্কুলে নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ পেতে হাফিজের অপকৌশল

 

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ২৩ ও ২৪ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সদরের ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি-কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। এ ২১টি স্কুলের মধ্যে রয়েছে বেগমপুর ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ারপোতা স্কুল। এ স্কুলে চাকরি প্রাত্যাশী প্রার্থী হাফিজ চাকরি না পেলে স্কুলে যাতায়াদের রাস্তা বন্ধ করে দেবার হুমকি দিয়েছে বলে গ্রামবাসী জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদরে ২১টি বিদ্যালয়ে আগামী ২৩ ও ২৪ মার্চ দপ্তরি-কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে তিতুদহ ইউনিয়নে ৬টি এবং বেগমপুর ইউনিয়নে ৪টি বিদ্যালয় রয়েছে। বেগমপুরের রাঙ্গিয়ারপোতা বিদ্যালয়ের আওতাধীন চাকরি প্রত্যাশী নজরুল ইসলামের ছেলে হফিজুল ইসলাম চাকরি পেতে অপকৌশল নিয়েছেন। কারণ বিদ্যালয়ের যাতায়াদের রাস্তা নাকি তাদের দেয়া। ফলে চাকরি না পেলে স্কুলে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার হুমকিও দিয়েছেন। যখন জমি দেয় তখন এমন কোনো শর্ত ছিলো না এবং এ পদ সৃষ্টিও হয়নি। সুযোগ বুঝে হাফিজুল এমন দাবি তোলায় গ্রামবাসীর মধ্যে মিশ্রয় প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। হাফিজুল এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ করেছেন। যেখানে যাতায়াতের ওই রাস্তার মূল্য দু লাখ টাকা বলে দাবি করেছে।

এদিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নের কতিপয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ১০টি চাকরির বিপরীতে প্রায় অর্ধকোটি টাকা কালেকশন করেছে বলে জোরগুঞ্জন উঠেছে। ফলে কারা চাকরি পাচ্ছে বা কাদের চাকরি হচ্ছে তাদের নামও শোনা যাচ্ছে বিদ্যালয় এলাকায়। যেখানে দপ্তরি নিয়োগে কোনো প্রকার অর্থ লেনদেনের ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। সেখানে কীভাবে এ অর্থ কালেকশন করার সাহস দেখাল নেতারা তা নিয়ে সচেতন মহলে প্রশ্ন জেগেছে। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন দুটিতে ব্যাপক গুঞ্জণ শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৬ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ কমিটিতে সভাপতি হিসাবে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সদস্যসচিব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সদস্য হিসাবে থাকবেন একজন এমপি প্রতিনিধি, একজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রাধান শিক্ষক।