চুয়াডাঙ্গার ভুলটিয়ায় দরিদ্র মায়ের কষ্ট না বুঝে কলেজপড়–য়ার আত্মহত্যা?

স্টাফ রিপোর্টার: যে ছেলে ছিলো তার মায়ের বেঁচে থাকার অবলম্বন, সংসারে সচ্ছলতা ফেরানোর স্বপ্ন, সেই কলেজপড়–য়া ছেলে মাকে শোক সাগরে ভাসিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করে বদরগঞ্জ বাজারের এক হাতুড়ের নিকট নেয়া হলে তিনি ওয়াশ করেন। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। মাসুদ রানার মৃত্যুর খবর শুনে গ্রামের অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, মায়ের কষ্ট না বুঝে প্রেমে পড়ে ব্যাচারা বাঁচতে পারলো না। সপ্তাখানেক আগে যার বিয়ে হয়ে গেছে তার জন্য মরতে হবে কেন? অসহায় মায়ের কষ্টটা বুঝলে কি সে ঘুমের ওষুধ আর বিষ খেতো?
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নের ভুলটিয়া শেখপাড়ার কেয়াকত আলীর একপক্ষের ছেলে মাসুদ রানা। তার মা আকলিমা কখনো ধানের চাতালে, কখনো পরের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে ছেলে মাসুদ রানাকে লেখাপড়া শিখিয়ে বড় করে তুলছিলো। মাসুদ রানা বদরগঞ্জ কলেজের দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র। গতকাল দুপুরে সে তার নিজ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। সন্ধ্যার আগে তার মা ও নানি দরজা খুলে দেখেন বিছানায় ছটফট করছে মাসুদ রানা। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে নেয়া হয় বদরগঞ্জ বাজারের ফজলু ডাক্তারের কাছে। তিনি ওয়াশ করতে শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতালে নিতে বলেন। সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কানিজ নাইমা মৃত ঘোষণা করেন। একই সাথে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, আনাড়ি হাতে ওয়াশ করাতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু দ্রুত ডেকেছেন হাতুড়ে ডাক্তার।