চুয়াডাঙ্গার দোস্তে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ : উভয় পক্ষের আহত ১৬

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ৩ দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৬ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশের কোঠর ভূমিকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দোস্ত গ্রামে পুলিশি টহল অব্যাহত ছিলো।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত বসুতি পাড়ার সামসুলের ছেলে খাইরুল রাত ৮টার দিকে মোবাইলে ফেলেক্সি দিতে গ্রামের মোল্লা পাড়ায় আসে। এ সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে ডাবলুর ছেলে শাহাজামাল খাইরুলকে চড় থাপ্পড় মারে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে শাহাজামাল দোস্তর বাজারে বাজার করতে গেলে খাইরুল শাহাজামালের ওপর চড়ায় হয় এবং তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও লঘু মারপিটের ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষণ পর তারই জের ধরে গ্রামের বসুতিপাড়া-মোল্লাপাড়ার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। বাজারে দু পক্ষের আত্মীয় স্বজন উপস্থিত থাকায় পুনরায় সামসুল ও শাজাহান পক্ষের লোকজন তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বাজারেরর লোকজন দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। এতে আহত হন সামসুল (৪৫) ছেলে খাইরুল (২৫), মঙ্গলের ছেলে হাবুল (৩০), আবুলের ছেলে মহর আলী, সাত্তারের ছেলে সাইদুল এবং দাউদেরে দু ছেলে রাজু (৩০) ও স্বপন (২২)।

অপরদিকে আহত হন শাহাজামাল (২৬), নাছির উদ্দীন (২৫), সুমন (২৬), শাহ আলম (২২), ইকরামুল (১৩), মাহফুজ (২২), মহন (২৮) ও জিহাদ (১১)। আহতরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশের সদস্যরা কঠর ভূমিকা পালন করেন। তবে ঘটনার পর থেকে বসুতিপাড়া ও মোল্লাপাড়ার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দোস্ত গ্রামে পুলিশ টহল দিচ্ছিলো। এবিষয়ে বাজার কমিটির সভাপতি আবদুল বারী বিশ্বাস বলেন, হাটের দিনে বাজার চলাকালীন যে বা যারাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। হিজলগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই শফিকুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।