চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারীসহ ৫জন আহত

ইছালে ছওয়াবের প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদ কমিটির সভায় বাগবিতণ্ডা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ের ছোট্ট একটি গ্রাম ঠাকুরপুর। এলাকার অনেকে এ গ্রামটিকে পীরগঞ্জ নামেই চেনেন। আবার অনেকে এ গ্রামটিকে দর্গাতলা নামে চেনেন। এখানে একটা মসজিদ আছে। দূরদূরান্ত থেকে অনেকে এ মসজিদে আসে মনের বিভিন্ন বাসনা পূরণের আশায়। প্রতি বছরের ১২ ফালগুন এ মসজিদে ইছালে ছওয়াবের আয়োজন করা হয়। ইছালে ছওয়াবকে ঘিরে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে সেখানে। আগামী ১২ই ফালগুন ইছালে ছওয়াবকে ঘিরে এক প্রস্তুতিসভার আয়োজন করা হয়। গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে এ মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রস্তুতিসভা উপলক্ষে মসজিদ কমিটিসহ এলাকার বহু মানুষের সমাগম ঘটে সেখানে। উল্লেখ থাকে যে, এখানে মসজিদ কমিটি নিয়ে এলাকায় পক্ষে বিপক্ষে চাপা উত্তেজনা দীর্ঘদিনের। গতকাল ঘটলো এরই বহিঃপ্রকাশ। আলোচনাসভা চলার সময় মসজিদ কমিটির পক্ষে বিপক্ষে দুগ্রুপের মধ্যে বাগবিত-ার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নিলে উভয় পক্ষের নারীসহ ৫জন রক্তাক্ত আহত হয়। আহতরা হলেন, ঠাকুরপুর গ্রামের মৃত হাজের আলী ওরফে হাজারির ছেলে ফজলুর রহমান কাবিল, একই এলাকার মৃত আইনদ্দীন ম-লের ছেলে করিম, হারেজ উদ্দীনের ছেলে টিটোন, মৃত আফছার আলীর ছেলে স্বপন ও লাভলুর মেয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমি। আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এসময় এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের পরিবারের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, আগামী ১২ই ফালগুন ইছালে ছওয়াব উপলক্ষে ঠাকুরপুর মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি আতিয়ার রহমান মসজিদেরর সামনে প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করেন। মসজিদ কমিটির পক্ষে বিপক্ষের অনেকেই ওই সভায় অংশগ্রহণ করেন। এ নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে মসজিদ কমিটির পক্ষে বিপক্ষে একেকজন একেক রকম মন্তব্য করতে থাকে। শুরু হয় বাগবিত-া। এরই একপর্যায়ে উভয়পক্ষ মসজিদের চেলা কাঠ নিয়ে সংঘর্ষ শুরু করে। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ ৫জন আহত হয়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। করিম, টিটোন ও স্বপন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও কাবিল ও সুমিকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।