চুয়াডাঙ্গার ছোটশলুয়ায় প্রবাসী স্বামীর বন্ধুর প্রতারণার শিকার চম্পা খাতুন মৃত্যুশয্যায়

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় স্বামীর বন্ধুর প্রতারণার শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন চম্পা খাতুন নামের এক নারী। প্রবাসী স্বামী নিজাম উদ্দীনকে তালাক দিয়ে একই এলাকায় স্বামীর বন্ধু ফারুক হোসেনের সাথে বিয়ে করেছিলেন চম্পা। কিন্তু বিয়ের মাত্র আড়াই মাসের মাথায় জোরপূর্বক চম্পার গর্ভপাত ঘটায় ফারুক। পরে স্বামী তার তলপেটে লাথি মারে এবং তালাক দেয়। লাথির কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণে নেতিয়ে পড়েছেন চম্পা। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চম্পার অভিযোগ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছোটশলুয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে চম্পার বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী গবরগাড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিনের সাথে। বিয়ের দু বছর পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান আসে। এরপর স্বামী নিজাম উদ্দিন সংসারের স্বচ্ছলতা আনতে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। এরই মধ্যে বছরখানেক আগে প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের বন্ধু একই গ্রামের ফারুক হোসেন চম্পার সাথে মোবাইলে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। তার প্রতারণার শিকার হয়ে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিয়ে ফারুক হোসেনের সাথে বিয়ে করেন চম্পা। দু মাস যেতে না যেতেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন চম্পা। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর জোরপূর্বক তার গর্ভপাত ঘটায় গ্রাম্য ডাক্তার চম্পার চাচা শ্বশুর হোসেন ডাক্তার। এরই মধ্যে গত চারদিন আগে স্বামী ফারুক হোসেন চম্পার তলপেটে লাথি মারে এবং পরদিন তালাক দেয়। এরপর থেকেই অনবরত রক্তক্ষরণ হতে থাকে চম্পার। তাকে শুক্রবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের আরএমও ডা. শামীম কবীর জানান, গর্ভপাত ঘটানোর পর আঘাতজনিত কারণে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। চম্পার পরিবারের লোকজন বলেছেন, আইনজীবীদের সাথে কথা হয়েছে। রোববার প্রতারক ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।