চুয়াডাঙ্গার কোটালী-দর্শনা মৎসজীবী সমবায় সমিতিতে নানান পেশার মানুষ

 

 : তাদেরকে মৎসজীবী বানাতে সমিতির সভাপতির দৌড়ঝাঁপ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কোটালী-দর্শনা মৎসজীবী সমবায় সমিতিতে নানান পেশার মানুষ। তাদেরকে মৎসজীবী বানাতে সমিতির সভাপতি আজগার আলী অপকৌশল নিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত মৎসজীবীদের চিহ্নিত করতে কার্ডধারী মৎস্যজীবীরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগদায়ের করেছেন। সঠিকভাবে তদন্ত করলেই ভুয়া মৎস্যজীবী ব্যক্তিদের মুখোশ উন্মোচন হবে।  বেরিয়ে পড়বে থলের বিড়াল এমনটাই মনে করছে এলাকাবাসী।

অভিযোগে জানা গেছে, সরকার দেশের প্রকৃত মৎসজীবীদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদেরকে কার্ডের আওতায় আনতে ২০০৯ সালে নীতিমালা তৈরি করে। যেখানে উল্লেখ আছে, যিনি প্রকৃতির উৎস থেকে মাছ শিকার এবং বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনিই প্রকৃত মৎস্যজীবী বলে গণ্য হবেন। আবার কোনো সমিতিতে যদি এমন কোনো সদস্য থাকেন যিনি প্রকৃতি মৎসজীবী না, তবে সে সমিতি কোনো সরকারি জলমহাল বন্দোবস্ত পাওয়ার যোগ্য হবেন না। দেখা গেছে কোটালী-দর্শনা মৎসজীবী সমিতির সভাপতি কোটালী গ্রামের গহর আলীর ছেলে আলী আজগার নিজেই একজন ঠিকাদার। তিনি কোনো কালেই প্রকৃতি থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেননি। এছাড়াও ওই সমিতিতে রয়েছে চেয়ারম্যান প্রার্থী, কৃষক, চাকরিজীবী, দিনমুজুর, রাজমিস্ত্রী, মৃত্যু ব্যক্তি, দুধ বিক্রেতা, কাঠের ব্যাপারী, লেদমিস্ত্রি, ইটভাটার ম্যানেজার, সারব্যবসায়ী, ইলেকট্রিক মিস্ত্রিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। যা খুবই হাস্যকর। এ সমস্ত ব্যক্তিদের মৎস্যজীবী বানাতে সমিতির সভাপতি নানা অপকৌশল গ্রহণ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, আলী আজগারের এ সমস্ত কুটকৌশলে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে সদর উপজেলা মৎস্য অফিসের একজন অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানতে পেরে তদন্তের জন্য প্রকৃত মৎস্যজীবী ফুরশেদপুর গ্রামের হাফিজুল, জসিম, বাবলু, আব্দুল হালিম, মহির উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা সমবায় অফিসার, উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিবসহ কমিটির সদস্যদের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাদের দাবি সঠিকভাবে তদন্ত করলে কোটালী-দর্শনা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির ভুয়া মৎস্যজীবী সাজা ব্যক্তিদের আসল পরিচয় বেরিয়ে পড়বে। অপরদিকে সমিতির সভাপতির অপকৌশল উন্মোচিত হবে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগকারীদের জোর দাবি বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি আলী আজগারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি।