চুয়াডাঙ্গারভিমরুল্লা ঈদগা কমিটি মহাসড়কের দু কিলোমিটার রাস্তার জঙ্গল পরিষ্কার করে এক উদাহরণ সৃষ্টি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ভিমরুল্লায় ঈদগা কমিটি মহাসড়কের দু কিলোমিটার রাস্তার জঙ্গল পরিষ্কার করে এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। যে কাজটি করার কথা ছিলো সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং পৌরসভার সেই কাজটি এলাকার উৎসাহী যুবকরা করে দেখিয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ৯টার দিকে ভিমরুল্লাঈদগা কমিটির সভাপতি রোকনুজ্জামান রিপনের নেতৃত্বে গাছপালা ঝোঁপঝাঁড় পরিষ্কার করতে মাঠে নামে কমিটির সদস্যরা।

চুয়াডাঙ্গা ভিমরুল্লা ঈদগা কমিটির সভাপতি জানান, ভিমরুল্লায় ঈদগা কমিটি গত ৭/৮ বছর যাবত মহাসড়কের দুপাশে ১ কিলোমিটার করে দু কিলোমিটার সড়কের ঝোঁপঝাঁড় পরিষ্কার করে আসছে। বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো ফল না পাওয়ায় সড়কের দুধারে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য তারা একাজ করে আসছেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করে আসছেন সহসভাপতি খন্দকার মামুন অর রশিদসহ কমিটির সদস্যরা। তিনি আরো জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা যাতে কোনো অসুবিধায় না পড়েন সেজন্য তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকেন।

 

ঝিনাইদহ পৌরসভায় ভিজিএফর কার্ড জালিয়াতি :আটক ২

ঝিনাইদহ অফিস: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঝিনাইদহ পৌরসভায় গরিব ও দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ’র কার্ড জালিয়াতি করার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৬০টি ভুয়া কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো, শহরের মহিষাকুণ্ডুর জাহিদুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৫) ও ব্যাপারীপাড়ার সলেমান হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩২)। আটক শফিকুল শহরের ব্যাপারীপাড়ার শাপলা প্রেসের কর্মচারী ও রবিউল পেশায় ট্রাকচালক।

পুলিশ ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পৌর এলাকায় নয়টি ওয়ার্ডে ৪ হাজার ৬শ গরিব ও দুস্থ মানুষের মাঝে ভিজিএফ’র কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক কার্ডধারীকে দশ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। শনিবার সকালে শহরের অগ্নিবীনা সড়কের একরাম হোসেনের স্ত্রী রেবেকা খাতুন একাই ১০টি কার্ড নিয়ে চাল উত্তোলন করতে আসেন। এসময় বিতরণকারীরা যাচাই করে দেখেন কার্ডে সিল জাল করা। এসময় কার্ডধারী রেবেকা খাতুন জানান, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মধু তাকে এ কার্ড দিয়েছেন। পরে রেবেকাকে আটক করলে তিনি পুলিশকে জানান, কমিশনার সাইফুল ইসলাম মধু শহরের ব্যাপারীপাড়ার শাপলা প্রেস থেকে কার্ডগুলো তৈরি করে বিতরণের জন্য তাকে দিয়েছিলেন। পরে ওই চক্রের দু সদস্য শফিকুল ও রবিউলকে পুলিশ আটক করে। তাদের কাছ থেকে ৬০টি ভুয়া কার্ড উদ্ধার করা হয়। আটককৃত রবিউল জানিয়েছে, পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ফারহানা রেজা আঞ্জু তাকে দুটি কার্ড দিয়েছে।

এদিকে পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান চাঁদ জানান, এ বছর কাউন্সিলর মধু তার বরাদ্দকৃত ভিজিএফ’র কার্ড নেননি। তাহলে তিনি কীভাবে কার্ড দিলেন। একটি জালিয়াতচক্র পৌর কর্তৃপক্ষকে বিতর্কিত করতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জানান, দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত কার্ড জালিয়াতি করার ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। উদ্ধার হওয়া ভুয়া ৬০টি কার্ডের মধ্যে জালিয়াতচক্র ২০টি কার্ডে তার ব্যবহৃত সিল নকল করেছে। তবে যারা আটক হয়েছে তারা সবাই ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। যে কারণে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তবে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসব ঘটনা অস্বীকার করে বলেছেন, ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। আমি কিছুই জানি না। আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র করেছে।

ঝিনাইদহ সদর থানার উপপরিদর্শক জিয়ারুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান চাঁদ বাদী হয়ে এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।ঝিনাইদহ পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু জানান, গত তিন বছরে পৌরসভায় কোনো কার্ড জালিয়াতির ঘটনা ঘটেনি। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর এটিই প্রথম জালিয়াতি। কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।