গোস্বামী দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক হাফিজুর রহমানের শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: কুষ্টিয়া জেলার ঐতিহ্যবাহী গোস্বামী দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক হাফিজুর রহমানের শাস্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। সহকারী গ্রন্থগারিকের শাস্তি দেয়া না হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে ফেরত না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গতকাল রোববার বিদ্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে। গত ২৯ এপ্রিল প্রাইভেট পড়তে রাজি না হওয়ায় ক্লাসরুমে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে বেহুশ করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে সহকারী গ্রন্থাগারিকের বিরুদ্ধে।

সরেজমিন উপস্থিত হয়ে দেখা গেছে, সহকারী গ্রন্থাগারিক হাফিজুর রহমানের শাস্তির দাবিতে গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তারা সহকারী গ্রন্থাগারিক হাফিজুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। তার শাস্তি না হলে কোনো শিক্ষার্থী আর ক্লাসে ফেরত যাবে না বলেও মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেয়। এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেয় নবম শ্রেণির ছাত্র সাজিম হোসেন, ১০ শ্রেণির ছাত্রী মিম্মা, নবম শ্রেণির ছাত্র সজীব হোসেন, হৃদয় হোসেন, আকাশ, সাকিল, সোহান, জামান, অনিক, নাসিম, দ্বীন। এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, সহকারী গ্রন্থাগারিকের ভাই প্রভাবশালী নেতা। তিনি টিসিং স্টাফ না হয়েও ভাইয়ের মাধ্যমে তিনি প্রধান শিক্ষককে চাপ দিয়ে নবম–দশম শ্রেণির গণিত ক্লাস নেন। প্রাইভেট পড়তে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করেন। প্রাইভেট পড়তে অপারগতা হলেই বিপদ। তার ওপর অমানসিক বিপদ নেমে আসে।

উল্লেখ্য,  গত শনিবার নবম শ্রেণির গণিতের ক্লাসে ঢুকেই সহকারী গ্রন্থাগারিক হাফিজুর রহমান চড়াও হন নবম শ্রেণির ছাত্র রুহুল আমিনের ওপর। রুহুল আমিন আলমডাঙ্গা উপজেলার মাজু গ্রামের কাতব আলীর ছেলে। কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই তিনি রুহুল আমিনকে কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে রুহুল আমিন অজ্ঞান হয়ে পড়ে। সে সময় অজ্ঞান অবস্থায় তাকে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় একই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক দ্রুত আলমডাঙ্গায় নিয়ে যান। আলমডাঙ্গার আনন্দধামের আব্দুল হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে পরে নেয়া হয় হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর তার জ্ঞান ফেরে।