গুলশান হামলার আরেক হোতা মারজান!

 

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার ঘটনায় আরও এক পরিকল্পনাকারী (মাস্টারমাইন্ড) শনাক্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। তার সাংগঠনিক নাম মারজান, সে জেএমবির সদস্য। বাংলাদেশের নাগরিক, ঢাকাতেই রয়েছে। শিক্ষিত ছেলে বলে মনে হচ্ছে। সে জেএমবির অন্য সদস্যদের কাউন্সেলিং করাতো। গুলশানে হামলার পর সেখান থেকে জঙ্গিরা মারজানের কাছেই ছবি (বিদেশি নাগরিকসহ একাধিক ব্যক্তিকে হত্যার পর ঘটনাস্থলের ছবি) ও তথ্য পাঠিয়েছিলো। মারজানের একটি ছবি পাওয়া গেছে, সেই ছবি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে কেউ কিছু জানলে পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার ও  কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, জেএমবির প্রচার বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন মারজান। গুলশানে হামলাকারী জঙ্গিদের সাথে অ্যাপসের মাধ্যমে সে কথা বলেছিলো। হলি আর্টিজানের ভেতরের নাশকতার ছবি তার কাছে পাঠানোর পর সেগুলোর  প্রশংসাও করেছিলো মারজান।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, হলি আর্টিজানে হামলাকারী পাঁচজন পায়ে হেঁটে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় আরেক পরিকল্পনাকারী জঙ্গিদের অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছিলো। পরে সে ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। তবে হলি আর্টিজানে হামলা ও হত্যার সব ছবি মারজানের আইডি থেকেই দেশের বাইরে পাঠানো হয়! এদিকে গতকাল ডিএমপির নিউজ পোর্টালে মারজানের একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তার পরনে হালকা নীল টি-শার্ট। মাথায় ঘন চুল, মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি ও গোঁফ রয়েছে। তার সম্পর্কে  বলা হয়েছে, গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকালীন সন্ত্রাসীরা এই ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি এই ঘটনায় সন্দেহভাজন। তার পরিচয় সম্পর্কে জানা থাকলে ‘Hello CT’ অ্যাপস-এর মাধ্যমে পুলিশকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি তামিম আহমেদ চৌধুরী ও সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উল্লেখ করেছিলো পুলিশ। তাদের প্রত্যেককে ধরিয়ে দিতে  ২০ লাখ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।