গাংনীর যুগিন্দা গ্রামের দু পরিবারের ঝগড়া থামাতে গিয়ে একজনের মৃত্যু

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর যুগিন্দা গ্রামে দু পরিবারের মধ্যে সৃষ্ট ঝগড়া থামাতে গিয়ে শহিদুল ইসলাম (৬২) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু ঘটে। শহিদুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত আমজাদ শাহর ছেলে।
পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম ও তার ভাই জুল্লু মিয়া এবং সাইফুল ইসলামের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিলো। আদালতে মামলাও হয়েছিলো। এর আগে মামলা-হামলার কারণে ভাইয়ে ভাইয়ের বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। গতকাল শুক্রবার সকালে শহিদুলের বড় মেয়ে পারভীনার সাথে তার চাচি ফুরকি খাতুনের (সাইফুলের স্ত্রী) ঝগড়া শুরু হয়। শহিদুল ইসলাম ওই ঝগড়া থামাতে গিয়েছিলেন। মেয়ের পক্ষ নেয়ার অজুহাতে তার ভাই তার ওপর চড়াও হয়। এর একপর্যায়ে হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শহিদুল। পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলেও জানান চিকিৎসক। এদিকে শহিদুলের মৃত্যর পর তার পরিবারের লোকজন হত্যাকা-ের অভিযোগ তোলেন। ভাইয়ের হাতে ভাই খুন বলে খবর রটে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা টেকেনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও গাংনী থানার ওসি। শহিদুলের পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন আগে তিনি স্ট্রোক করেছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিলো না। ঝগড়ার মধ্যে পড়ে ভীতিতে সে মারা গেছেন। তার মৃত্যুর জন্য অবশ্যই ঝগড়াকারীরা দায়ী।
গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ দেয়নি। থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।