গাংনীর বামন্দীর সেই গৃহবধূর চিকিৎসা সহযোগিতায় হাত বড়ালেন মিল্টন

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলা বামন্দী-নিশিপুরের মানসিক ভারসাম্যহীন সেই গৃহবধূ ববিতা খাতুনের চিকিৎসায় সহযোগিতার হাত বাড়ালেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি শিল্পপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন। দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি তার নজরে পড়ে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তিনি প্রতিনিধির মাধ্যমে ববিতার খোঁজখবর নিয়ে সহযোগিতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত কয়েকদিন আগে বামন্দী মোল্লাপাড়ার মিনা মিয়ার স্ত্রী ববিতা খাতুন মানসিক ভারসাম্য হারালে তাকে খালার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তার বাড়ির লোকজন। সহায়-সম্বলহীন ববিতার চিকিৎসায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন স্থানীয় কয়েক তরুণ। তারা পথচারীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে চিকিৎসার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জাভেদ মাসুদ মিল্টনের প্রতিনিধি হিসেবে ববিতার খোঁজখবর নেন ছাত্রদল নেতা চপল বিশ্বাস। তার শারীরিক ও মানসিক বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন তিনি। ববিতার চিকিৎসার জন্য জাভেদ মাসুদ মিল্টনের অর্থ দিয়ে সহযোগিতার বিষয়টি তাদের অবহিত করেন তিনি।

অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে জাভেদ মাসুদ মিল্টন জানান, বিষয়টি অতি মানবিক। একজন মানুষ ভালো-মন্দ যাই হোক তার চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এমন সহায় সম্বলহীন মানুষের সহযোগিতা করা অবশ্যই নৈতিক দায়িত্ব। এদিকে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সহযোগিতার কথা শুনে সন্তোষ প্রকাশ করেন ববিতার পরিবার ও বামন্দীর সেই স্বেচ্ছাসেবী তরুণরা। তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, স্বামীর সংসার থেকে বিতাড়িত সহায়-সম্বল ও পিতা-মাতাহীন ববিতার আশ্রয় মেলে বামন্দী-নিশিপুরে খালার বাড়িতে। তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়। অসহায় ববিতার পাশে দাঁড়ায় স্থানীয় কয়েক তরুণ। তারা সড়কে পথচারীদের কাছ থেকে টাকা তুলে চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়।