গাংনীর বাওট গ্রামে পরস্ত্রীর ঘরে কলেজ শিক্ষক

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের এক দিনমজুরের স্ত্রীর সাথে কলেজ শিক্ষক ও বিএনপি নেতা আব্দুল হামিদের অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সোমবার রাতে ওই নারীর ঘরে আব্দুল হামিদকে মারধর করে নারীর স্বামী। আব্দুল হামিদ বাওট গ্রামের মৃত লিয়াকত বিশ্বাসের ছেলে। তিনি হারদি কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ এবং গাংনীর মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাওট গ্রামের এক দিনমজুর বিত্তশালী আব্দুল হামিদের পরিবারে কৃষি কাজ করেন। এ সুবাদে দিনমজুরের স্ত্রীর সাথে হামিদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে দিন রাতের বিভিন্ন সময়ে ওইদিন মজুরের বাড়িতে যাতায়ত ছিলো আব্দুল হামিদের। গত সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে আব্দুল হামিদ ওই বাড়িতে যান। দিনমজুরের স্ত্রীর সাথে তাঁর অনৈতিক কর্মকা-ের অভিযোগ ওঠে। আব্দুল হামিদকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে ওই দিনমজুর। সেখান থেকে পালিয়ে রক্ষা পায় হামিদ। এ ঘটনা জানাজানি হলে গ্রামের উৎসুক মানুষ দিনমজুরের বাড়িতে জড়ো হয়। হামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ওঠে। ওই ঘটনার পর থেকেই দিন মজুরের স্ত্রী আত্মগোপন করছেন। আব্দুল হামিদও বাড়ি থেকে তেমন বের হচ্ছেন না।
দিনমজুরের বড় ছেলে বলেন, যে নারীকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি তিনি আমার সৎ মা। আমি অন্য বাড়িতে থাকি। দীর্ঘ চার বছর ধরে আমার পিতার বাড়িতে আব্দুল হামিদ যাতায়াত করেন। আমার সৎ মায়ের সাথে তার বিভিন্ন সম্পর্কের কথা গ্রামের মানুষের মাঝে আলোচনা হয়ে আসছে। ওইদিন সেখানে একটি ঘটনা ঘটেছে শুনে আমি গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পায়নি।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ঘটনার পর থেকেই বাওট গ্রাম ও আশেপাশের গ্রামের মানুষের মাঝে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। গ্রামের কয়েকজন বিষয়টি নিয়ে সালিশ করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু প্রভাবশালী আব্দুল হামিদের পক্ষে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন অবস্থান নেয়ায় সালিশ উদ্দ্যোগ ভেস্তে যায়। তারপর থেকেই গ্রামের মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে গতকাল বুধবার বাওট গ্রামে গিয়েও আব্দুল হামিদের সাক্ষাত পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।