গাংনীর ফতাইপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১৪

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের লোকজনের হামলায় ফতাইপুর গ্রামের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চেংগাড়া বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে গাংনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা। ফতাইপুর গ্রামের আহত আব্দুল বারী (৫৫) ও তার ভাতিজা রানা আহম্মেদ (৩৮), একই গ্রামের আলী হোসেন (৩৫) ও আব্দুল কুদ্দুসকে (৪২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফতাইপুর গ্রামের তাহাজ উদ্দীনের ছেলে রাজা মিয়ার সাথে ঈদের নামাজ পড়ার পর প্রতিবেশী চেংগাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের গণ্ডগোল হয়। এতে চেংগাড়া গ্রামের লোকজন তাহাজ উদ্দীনকে মারধর করে। এ নিয়ে উভয় গ্রামের মানুষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।

স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, রানা ও তার লোকজন চেংগাড়া মোড়ে বসে দুদিন ধরে পাহারা করেছে। তাদের হুমকিতে চেংগাড়া গ্রামের অনেকেই গাংনী শহরের দিকে আসতে পারছিলেন না। মোড়ে কয়েকজনকে চড়থাপ্পড়ও মারে তারা। গণ্ডগোলের লক্ষ্যে উভয় পক্ষের লোকজনের মাঝে বেশ প্রস্তুতিও ছিলো। এরই মাঝে চেংগাড়া গ্রামের শতাধিক লোক গতকাল সন্ধ্যার আগে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে চেংগাড়া মোড়ে আসে। এসময় রানা ও তার চাচাসহ কয়েকজন মোড়ে অবস্থান করছিলো। চেংগাড়া গ্রামের লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। কয়েকজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে স্থান ত্যাগ করে। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় ফতাইপুর গ্রামের শতাধিক মানুষ হাসপাতালে আসে। তাদের চোখেমুখে ছিলো প্রতিশোধের চিহ্ন। অন্যদিকে চেংগাড়া গ্রামের মানুষও সংঘবদ্ধ হয়েছে। তাই যেকোনো সময় আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

এদিকে চেংগাড়া গ্রামসূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় তাদের পক্ষের গোলাম হোসেন (৪৫), ফয়সাল হোসেন (৩৫) ও বিল্টু মিয়া (৩৪) আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

গণ্ডগোলের খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি শান্ত হয়। হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম।