গাংনীর খয়ের হত্যা মামলার আসামির বাড়ি থেকে রক্তমাখা হেঁসো উদ্ধার

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী শহরের আবুল খয়ের হত্যা মামলার আসামি আকছার আলীর বাড়ি থেকে রক্তমাখা ৩টি হেঁসো (রামদা সদৃশ্য) উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে গাংনী থানা পুলিশ এগুলো উদ্ধার করে। এই দেশীয় অস্ত্র দিয়েই খয়েরকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশ ও বাদী পক্ষের।

আবুল খয়ের হত্যা মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার এসআই শহিদুল ইসলাম গতকাল সোমবার দুপুরে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। অলিপাড়ার গোরস্তানের পাশে অবস্থিত আকছার আলীর বাড়ির বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করা হয়। এক পর্যায়ে ওই বাড়ির মালামাল রাখার একটি কক্ষ থেকে ৩টি হেঁসো উদ্ধার করা হয়।

এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, হোঁসোগুলোতে রক্তের দাগ রয়েছে। এই রক্ত নিহত আবুল খয়েরের কি-না তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে নিহত খয়েরের শরীরে ধারালো অস্ত্রের যে কোপগুলো ছিলো সেগুলো উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের বলে ধারণা করছেন নিহতের পরিবার।

নিহতের ভাই গাংনী পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইনসারুল হক ইন্সু ও এনামুল হক জানান, খয়েরের শরীরে বেশ কয়েকটি স্থানে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর কোপের দাগ ছিলো। এর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। যাতে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা খবর পাচ্ছিলেন যে আকছারের বাড়িতে অস্ত্র থাকতে পারে। পুলিশের অভিযানের মধ্যদিয়ে তার সতত্যা মিলেছে। তবে খয়েরের শরীরে যে গুলির দাগ ছিলো সেই আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় রাখা হয়েছে তা খতিয়ে দেখার দাবি করেন তারা। প্রধান আসামি বাবু ওরফে কানা বাবু ও আকছারসহ তাদের সহযোগীদের বাড়িঘর তল্লাশি করলে অস্ত্রের সন্ধান মিলতেও পারে বলে মন করছেন বাদীপক্ষ। তবে তল্লাশি অভিযানের সময় আকছারের পরিবারের কেউ সেখানে ছিলেন না। খয়ের মৃত্যুর পর থেকেই তারা আত্মগোপনে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যা রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় বাড়ির অদুরবর্তী ওলিপাড়া সড়কে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা হামলা করে খয়েরের ওপর। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরেরদিন ভোরের দিকে রাজশাহী মেডিকেলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে পরিবার। এজাহার নামীয় দুজন গ্রেফতার হলেও অন্যান্য আসামিরা আজও গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে বাদীসহ তার স্বজনদের মাঝে।