গাংনীতে স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীকে জরিমানা দিলো ব্যবসায়ী কামাল ও মন্টু

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীর গোরস্থানপাড়ার শহিদুলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারী। উত্তরপাড়ার ফার্ণিচার ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের স্ত্রী হিসেবেই আশেপাশের লোকজন জানতেন। কিন্তু বুধবার রাতে ওই নারীর ঘরে কামালের হাতে ধরা পড়ে ঢেপা গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী মন্টু মিয়া। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়। ওই নারী কার স্ত্রী তা পরিষ্কার না হলেও কামাল ও মন্টু মিয়া জরিমানা দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চৌগাছা গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন গাংনী উত্তরপাড়ার একজন ফার্ণিচার ব্যবসায়ী। তিনি বিবাহিত। চিৎলা গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। বিয়ের প্রলোভনে ওই নারীকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে গাংনীর গোরস্থানপাড়ার শহিদুলের বাড়িতে রাখে কামাল হোসেন। ওই নারী ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। তার সংসারে যাবতীয় খরচ বহন করতেন কামাল। বুধবার রাতে ঢেপা গ্রামের গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী মন্টু মিয়া ওই নারীর ঘরে অবস্থান নেয়। ওই সময় কামাল হোসেনও সেখানে যান। মন্টু মিয়া ও নারীকে একসাথে দেখতে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কামাল। শেষ পর্যন্ত মন্টু মিয়াকে আটক করলে আশেপাশের লোকজন খবর পায়। শুরু হয় স্থানীয়দের জটলা। এরই মাঝে মোটরসাইকেল ফেলে কৌশলে পালিয়ে যায় মন্টু মিয়া। পরদিন সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কামাল অথবা মন্টু মিয়ার সাথে ওই নারীর বিয়ে দেয়ার জন্য স্থানীয়ভাবে চাপ সৃষ্টি হয়। ওই নারী কামাল হোসেনের সাথে বিয়ে করতে চাইলে তা হয়নি। শেষ পর্যন্ত কামাল হোসেনকে ২৫ হাজার ও মন্টু মিয়ার কাছ থেকে ২০ টাকা টাকা জরিমানা নিয়ে বাড়ি ফিরে যায় ওই নারীর পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে কামাল হোসেন বলেন, রং মিস্ত্রিদের রান্না করে দেয়ার জন্য আমি ওই নারীকে নিয়ে এসেছিলাম। তার সাথে আমার বিয়ে হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ওই নারীকে কামালের স্ত্রী হিসেবেই পাড়ার লোকজন জানতেন। এর মাঝে ওই নারীর ঘরে মন্টু মিয়ার উপস্থিতি নিয়ে নানা মুখরোচক সমালোচনা চলছে। ওই নারী কামাল হোসেনের স্ত্রী নাকি মন্টু মিয়ার স্ত্রী তা পরিষ্কার হচ্ছেন না আশেপাশের লোকজন।