গাংনীতে প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিকের বিষপান

গাংনী প্রতিনিধি: প্রেমিকার কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে শেষ পর্যন্ত প্রেমিকার বাড়িতেই বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন হাসমত উল্লাহ নামের এক প্রবাসী প্রেমিক। স্থানীয়রা তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এর পরপরই প্রেমিকা পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর গাংনীর কসবা গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে।
হাসমত উল্লাহ এ উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের বড় বামুন্দী গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে। হাসমত উল্লাহর মা নাজেরা খাতুন জানান, হাসমত উল্লাহর সাথে কসবা গ্রামের আলা উদ্দীন মাস্টারের মেয়ে কসবা ক্যাম্পপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফিয়া আকতারের সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলে। ইতোপূর্বে তারা আলমডাঙ্গা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পরে পারিবারিকভাবে মুচলেকা দিয়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে আনা হয়। তারপরও আফিয়ার পরিবার এদের বিয়ে দিতে রাজি হননি। বছর দুয়েক আগে হাসমত উল্লাহ দুবাই পাড়ি জমায়। সেখান থেকে সমস্ত টাকা পয়সা স্বর্ণালঙ্কার ও দামি মোবাইল ফোন উপহার দেয় প্রেমিকা আফিয়াকে। সম্প্রতি বাড়ি ফিরে আসেন হাসমত উল্লাহ। বিয়ের জন্য চাপ দেয় আফিয়াকে। এদিকে আফিয়ার এ বিয়ে কোনো মতেই মেনে নিতে চান না তার পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার হাসমত উল্লাহকে কৌশলে ডেকে নেয় আফিয়া ও তার পরিবারের লোকজন। সেখানে গেলে হাসমত উল্লাহর কাছ থেকে মোবাইলফোন ও মেমোরি কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে অপমান করে। এতে রাগে ও ক্ষোভে প্রেমিকার সামনেই বিষপান করেন হাসমত উল্লাহ। বিষয়টি টের পেয়ে প্রেমিকা আফিয়া ও স্থানীয় লোকজন হাসমত উল্লাহকে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসমত উল্লাহর পরিবারের লোকজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কৌশলে পালিয়ে যায় প্রেমিকা আফিয়া। গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এমকে রেজা জানান, হাসমত উল্লাহ এখন শঙ্কামুক্ত নয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের উপদেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে প্রেমিকা আফিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইলফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে আফিয়ার বাবা আলার উদ্দীন মাস্টার জানান, ছেলেটি তার মেয়েকে নানাভাবে উত্যক্ত করতো। এতে নিষেধ করায় সে বিষপান করেছে। তাহলে আফিয়া ও হাসমত উল্লাহ কি কারণে আলমডাঙ্গা এলাকায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলো? এ প্রশ্নের জবাব মেলেনি।