গাংনীতে প্রতিপক্ষের হামলায় ভুড়ি-কিডনি বেরিয়ে যাওয়া রহিম মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন

 

গাংনী প্রতিনিধি: প্রতিবেশীদের বর্বোরচিত হামলায় ভুড়ি-কিডনি বেরিয়ে যাওয়া মুরগি ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম (৩২) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। গতকাল রোববার সকালে রাজশাহী মেডিকেলে পেটে অস্ত্রোপচার (অপারেশন) হলেও এখনও জ্ঞান ফেরেনি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিনগত রাত একটার দিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পেটের আঘাত এতোটাই মারাত্মক যে কুষ্টিয়া হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়নি। রোববার ভোরের দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে রাজশাহী মেডিকেলে পৌঁছায়। সেখানে একটি মেডিকেল টিম রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে অস্ত্রোপচার করেন। দীর্ঘসময় ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসকরা রোগীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করলেও আশঙ্কামুক্ত নয়। এখনও জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন রহিম। হাসপাতালের বিছানায় তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। রোববার রাত দশটা পর্যন্ত আব্দুর রহিমের জ্ঞান ফেরেনি।

এদিকে হামলার পর থেকেই গতকাল ভোর পর্যন্ত রহিমের পেটের ক্ষত স্থান দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই চিকিৎসার জন্য প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে। রহিমের রক্তের গ্রুপ ‘ও’ নেগেটিভ। দুলর্ভ এই রক্ত জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন তার স্বজনরা। অপরদিকে দরিদ্র রহিমের পরিবারের পক্ষে চিকিৎসা খরচ জোগাড় করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। রক্ত-টাকা জোগাড় ও রহিমের প্রাণ বাঁচানো নিয়ে পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়। কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি যদি রক্ত দিতে চান তাহলে রহিমের ভাই আওলাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। মোবাইল নম্বর- ০১৭৫৬-৬৬৫২২৫। এদিকে ঘটনার পর থেকেই হামলাকারীরা আত্মগোপন করেছে। তবে আহতের পরিবার চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মামলা করতে পারেননি। তবে ঘটনার রাত থেকেই গাংনী থানা পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, কবুতরের ঘর স্থাপন নিয়ে ধর্মচাকী গ্রামের আব্দুর রহিমের সাথে প্রতিবেশী পল্লি চিকিৎসক ঠাণ্ডু মিয়ার পরিবারের দ্বন্দ্ব বাধে। এর জেরে শনিবার রাতে আব্দুর রহিমের ওপর হামলা চালায় ঠাণ্ডু মিয়ার পরিবারের কয়েকজন। ধারালো হেঁসো দিয়ে রহিমের পেটে কোপ দেয়। এতে তার ভুড়ি-কিডনি বেরিয়ে যায়। হামলা ঠেকাতে গিয়ে আহত হন রহিমের স্ত্রী, মেয়ে ও ভাতিজা। তাদেরকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে রহিমকে কুষ্টিয়া রেফার করেন চিকিৎসক। অপর তিনজনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।