গাংনীতে দুই সতীন-স্বামীর গণ্ডগোলে মাথা ফেটেছে মাস্টারের

গাংনী প্রতিনিধি: স্বামী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর হামলায় আহত হয়েছেন সদ্য তালাকপ্রাপ্ত প্রথম স্ত্রী রাশিদা খাতুন (২২)। গণ্ডগোল থামাতে গিয়ে মাথা ফেটেছে টেইলার্স মাস্টার ডাবলু মিয়ার। গতকাল রোববার সকালে মেহেরপুর গাংনী শহরের আমিরুল মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। আহত দু’জনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, গাংনী বাজারের সেলুন দোকানি ঠাণ্ডুমিয়া প্রথম স্ত্রী রশিদা খাতুনকে কয়েক মাস আগে তালাক দেয়। এ নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব চলছিলো। দ্বিতীয় স্ত্রী শিউলি খাতুনকে নিয়ে সংসার করছেন ঠাণ্ডু। রশিদা খাতুন গাংনী শহরের লেডিস টেইলার্সের একজন পোষাক কারিগর হিসেবে কাজ করেন। গতকাল সকালে তিনি ওই টেইলার্স দোকান খোলার সময় ঠাণ্ডু ও তার স্ত্রীর হামলার শিকার হন। স্বামী-স্ত্রীর অতর্কিত হামলায় মার খাওয়া ছাড়া রশিদার উপায় ছিলো না। এমন অবস্থা দেখে মারধর ঠেকাতে এগিয়ে যান প্রতিবেশী টেইলার্স মাস্টার ডাবলু মিয়া। এ সময় ঠাণ্ডু ও তার স্ত্রীকে স্কেল দিয়ে আঘাত গিয়ে ডাবলুর মাথা ফাটিয়ে দেয়। রশিদা ও ডাবলুর মাথা ফেটে যাওয়ার খবরে আশেপাশের দোকানিরা ছুটে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে ঠা-ু ও তার স্ত্রী সটকে পড়ে।
এদিকে ওই মার্কেটের দোকানিরা জড়ো হলে ঠাণ্ডুর দিকে ধাওয়া করে। জেলা পরিষদ মার্কেটে গিয়ে ঠাণ্ডুকে ধরে। সেখানে যুবলীগের বর্ধিত সভা শুরুর জন্য নেতাকর্মীরা অবস্থান করছিলেন। তাই গ-গোল না করার জন্য যুবলীগ নেতারা অনুরোধ করেন। এ নিয়ে এক ব্যবসায়ীর সাথে যুবলীগের এক নেতার বাকবিতণ্ডা বাধে। দুই সতীন ও স্বামীর গণ্ডগোলের বিষয়টি গড়ায় অন্যদিকে। তবে পুলিশ, যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ বিষয়ে কেউ আইনি সহায়তা চাইলে তা দেয়া হবে।