গাংনীতে জোর পূর্বক সেচ সংযোগের তার কর্তন

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের বৈদ্যুতিক সেচ সংযোগের তার কেটে দেয়া হয়েছে। এতে ওই সেচ সংযোগের আওতায় ধানের চারা ও কঁচু আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। জোরপূর্বক তার কেটে দেয়ার দায়ে ওই গ্রামের রবিউল ইসলাম ও ধানখোলা গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে পরিচিত টোকনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

অভিযোগে জানা গেছে, হাড়িয়াদহ গ্রামের দক্ষিণপাড়ার আব্দুল হাইয়ের একটি বৈদ্যুতিক সেচ সংযোগ রয়েছে। সংযোগের আওতায় ২১ বিঘা জমি আবাদ হয়। পূর্ব বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার হাড়িয়াদহ গ্রামের রবিউল ইসলাম ধানখোলা গ্রামের টোকনের সাহায্যকারী মাসুমকে দিয়ে সংযোগের মাঝখানে কেটে দেয়। এতে তার মাটিতে ঝুলে পড়ে। এতে একদিকে যেমনি আবাদ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে অন্যদিকে বিপদজনক অবস্থায় তার পড়ে থাকায় যেকোন মুর্হুতে ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রবিউল ইসলাম কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির মিরপুর জোনাল অফিসে মিটার রিডার হিসেবে কর্মরত। এ কারণে পল্লী বিদ্যুতের ক্ষমতার বড়াই করে সে তার কেটে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের ডিজিএম ফখর উদ্দীন বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এ বিষয়ে গ্রাহক ফৌজদারী আইনে মামলা দায়ের করতে পারেন। মিটার রিডার রবিউল ও ইলেকট্রিশিয়ান টোকনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে। সরজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, বৈদ্যুতিক সেচ সংযোগের ওই তার মাঝ থেকে কেটে দেয়ায় দুই পাশে মাটিতে ঝুলে পড়েছে। অরক্ষিত রয়েছে তার। ইতোমধ্যে হালিমা খাতুন নামের এক গৃহবধূ বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়েছেন। তবে স্থানীয়রা তড়িত ব্যবস্থা নেয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। তাই যেকোন মুর্হূতে সেখানে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম বলেন, আমার জায়গার ওপর দিয়ে আব্দুল হাই লাইন নিয়েছেন। অথচ তার প্রতিবেশীর জমির ওপর দিয়ে আমার সংযোগ লাইন দিতে বাধা দিচ্ছেন। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে বিরোধ চলছে।