গাংনীতে জোরপুর্বক সই করে নেয়া সেই শাদা স্ট্যাম্প এখন কামালের কাছে

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার উত্তর ভরাটের বাচ্চু মিয়া নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে জোরপুর্বক শাদা স্ট্যাম্পে সই করে নেয়ার পর তাতে বাড়িঘরের মালিকানা লিখে নেয়া হয়েছে। ভরাট গ্রামের সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত কামাল ওরফে ন্যাড়া কামাল ওরফে সন্ত্রাসী কামালের কাছে স্ট্যাম্প হস্তান্তর করেছে জোরপুর্বক লিখে নেয়া শফি ও রজব আলী। ইতোমধ্যে বাচ্চু মিয়ার বাড়ি দখলে নিতে বাচ্চু মিয়ার ভাবিকে মারধর করেছে কামাল ও তার বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।
অভিযোগে জানা গেছে, উত্তর ভরাটের বাচ্চু মিয়ার এক আত্মীয় সৌদি আরবে থাকেন। এ সুবাদে একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম শফি ও রজব আলী ছেলেদের বিদেশ পাঠানোর জন্য ধরণা দেন। অনুরোধের ঢেঁকি গিলে বাচ্চু মিয়া অনেক চেষ্টায় শফি ও রজব আলীর ছেলেকে সৌদি আরবে পাঠিয়ে দেন আট মাস আগে। এর পরেই বাচ্চুর কাছ থেকে জোরপুর্বক শাদা স্ট্যাম্পে সই করে দেয় শফি ও রজব। বিষয়টি নিয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গায় গত ২৪ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে ভিত হয়ে শফি ও রজব স্ট্যাম্পটি গ্রামের সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ন্যাড়া কামালের কাছে হস্তান্তর করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কামাল হোসেন ওই স্ট্যাম্পে বাচ্চু মিয়ার বাড়িঘর লিখে নিয়েছেন। এর আগে থেকেই শফি ও রজবের লোকজনের হুমকিতে বাচ্চু মিয়া বাড়ি ছাড়া। কয়েকদিন আগে বাচ্চু মিয়ার ভাই রেজাউলের স্ত্রী বাচ্চুর বাড়িতে যায়। বাড়ির একটি নারকেল গাছ থেকে কয়েকটি নারকেল পাড়ার চেষ্টা করে। এসময় কামাল হোসেন ও তার লোকজন বাচ্চুর ভাবিকে বেধড়ক মারপিট করে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জোরপুর্বক শাদা স্ট্যাম্পে সই করে নেয়ার বলে ওই বাড়ি এখন কামালের বলেও দাবি করেন কামাল হোসেন। একদিকে প্রভাবশালীদের চাপ অন্যদিকে কৌশলে বাড়িঘর লিখে নেয়ার ঘটনায় চরম বিপাকে পড়েছেন বাচ্চু মিয়া ও তার পরিবার। প্রাণভয়ে তিনি মামলাও করতে সাহস পাচ্ছেন না। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করেছেন বাচ্চু মিয়া।
বিষয়টি গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) গোচরে আনলে তিনি বলেন, বাচ্চু মিয়াকে মামলা করার পরামর্শ দেন তিনি। মামলায় আইনগত ব্যবস্থা ও বাচ্চুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।