গাংনীতে একজনের নামের মিটার অন্যজনের বাড়িতে স্থাপন!

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির গাংনী জোনাল অফিস থেকে কনজ্যুমার মিটার অর্ডার (সিএমও) হলেও মিটার পাননি শহরের টিঅ্যান্ডটি পাড়ার বাসিন্দা ঠিকাদার ইদ্রিস আলী। পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ ওই মিটারটি চৌগাছার আরেক ইদ্রিস আলীর বাড়িতে স্থাপন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ইদ্রিস আলী প্রতিবাদ করলেও তিনি মিটার পচ্ছেন না।

ঠিকাদার ইদ্রিস আলী নিজ বাড়িতে নতুন একটি মিটার স্থাপনের লক্ষ্যে গাংনী জোনাল অফিসে আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৯ নভেম্বর তিনি জামানত ও মিটারের টাকা জমা প্রদান করেন। গত ১৫ জানুয়ারি ইদ্রিস আলীর নামে একটি কনজ্যুমার মিটার অর্ডার (সিএমও) তৈরি করে পল্লী বিদ্যুত। বিষয়টি নিশ্চিত করে ইদ্রিস আলীকে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা জানান যে মিটার প্রাপ্যতা সাপেক্ষে তার বাড়িতে স্থাপন করা হবে। তার পর থেকেই দিনের পর দিন পল্লী বিদ্যুত অফিসে মিটারের জন্য ঘুরছিলেন ইদ্রিস আলী। গত দু মাস গাংনী এলাকায় ব্যাপকভাবে মিটার স্থাপন করা হলেও ইদ্রিস আলীর মিটার স্থাপন করা হয়নি। নিরুপায় হয়ে তিনি কয়েক দিন আগে আবারের অফিসে গিয়ে খোঁজখবর নেন। তখন অন্য ইদ্রিস আলীর বাড়িতে মিটার স্থাপনের বিষয়টি ধরা পড়ে। তবে এজিএম সোহেল রানা তাকে আশ্বস্থ করেন তার মিটারটি স্থাপন করা হবে। টাকা জমার রসিদের উল্টো পিঠে লিখে দেন ডুপ্লিকেট সিএমও প্রয়োজন।

ইদ্রিস আলী জানান, দিনের পর দিন তিনি অফিসে ঘুরলেও কর্মকর্তারা বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করেছেন। বারবার হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি। প্রতিকারে তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করবেন। তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টি ভুলের কারণে হয়েছে। ইদ্রিস আলীর মিটার দুয়েক দিনের মধ্যেই স্থাপন করা হবে।