গাংনীতে অবরোধে সরকারি গাছ কাটা ও ট্রাক পোড়ানোর অভিযোগে এমপি আমজাদসহ বিএনপি-জামায়াতের ৪শ জনের নামে দুটি মামলা

গাংনী প্রতিনিধি: সরকারি গাছ কেটে সড়ক অবরোধ ও ট্রাকে আগুন দেয়ার অভিযোগে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য জেলা বিএনপির সভাপতি আমজাদ হোসেনকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে ও গতকাল সোমবার ভোরে গাংনী থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

গাংনী থানাসূত্রে জানা গেছে, গাছ কাটার অভিযোগে গাংনী থানা উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে রোববার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে এমপি আমজাদ হোসেনকে। অন্যান্য আসামিদের মধ্যে উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির নাজমুল হুদা, উপজেলা আমির রবিউল ইসলাম, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আখেরুজ্জামান, পৌর বিএনপি সভাপতি ইনসারুল হক ইন্সুসহ ১৯ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আরো ৩/৪শ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ২৬ নভেম্বর অবরোধের সময় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে গাড়ডোব থেকে খলিশাকুণ্ডি ঘাটের আগ পর্যন্ত সড়কে কয়েকশ গাছ কাটার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।

এদিকে রোববার রাতে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের আকুবপুর নামক স্থানে দুর্বৃত্তরা ট্রাকে আগুন দেয়। ওই ঘটনায় এমপি আমজাদ হোসেনকে প্রধান আসমি করে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সামসুল আলম বাদী হয়ে আকেরটি মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মামলাটি গাংনী থানায় নথিভুক্ত হয়েছে। অন্যান্যদের মধ্যে বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুল আওয়ালসহ বিএনপি-জামায়াতের ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি সোমবার বিকেল ৫টার দিকে নিশ্চিত করেছেন গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাছুদুল আলম।

এদিকে মামলা দুটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহরের দাবি জানিয়েছেন এমপি আমজাদ হোসেনসহ বিএনপি-জামায়াত নেতৃবৃন্দ। আমজাদ হোসেন বলেছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পুলিশ মামলা দিয়ে হয়রানি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মামলার ভয়ে আন্দোলন সংগ্রাম বন্ধ হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।