গরুর মাংস বহনের অভিযোগে একজনকে হত্যা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের ঝাড়খণ্ডে গরুর মাংস বহনের অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার আলিমুদ্দিন ওরফে আজগর আনসারি নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার মারুতি গাড়ি আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। গো-রক্ষার নামে মানুষ হত্যা মেনে নেয়া যায় না বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকালে জানিয়ে দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটলো। দুপুরে ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলার নয়াসরাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত জনতার অভিযোগ, ঝাড়খন্ডে গরুর মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ। আলিমুদ্দিন গরুর মাংস কিনে মারুতি গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। খবর পেয়ে তারা তাকে আটক করে গাড়িতে গরুর মাংস পায়। তাই তাকে তারা পিটিয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় আলিমুদ্দিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ভারতে গো-রক্ষার নামে একের পর এক হত্যার ব্যাপারে আজই নিজের রাজ্য গুজরাটে মহাত্মা গান্ধীর সবরমতী আশ্রমে গিয়ে মোদি বলেন, ‘গো-রক্ষার অর্থ কি একজন মানুষকে খুন করা? কখনোই নয়। গো-রক্ষার নামে মানুষ হত্যা মেনে নেয়া যায় না।’ গো-রক্ষার নামে আইন নিজের হাতে তুলে নিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। ভারতে বেশ কয়েকদিন ধরেই গরুর মাংস বিতর্ক চলছে। গরুর মাংস বহন করছে—এমন অভিযোগে বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর সাথে জড়িত হিসেবে মোদির দল বিজেপি ও পক্ষের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর নাম আসছে।