খুলনার ষোড়শীকে জীবননগরের উথলীতে এনে গণধর্ষণ

কথিত ধর্মভাইসহ ধর্ষকদের গাঢাকা : লোকমোর্চার সহযোগিতা কামনা
জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারী গ্রামে ধর্ম ভাইয়ের সহযোগিতায় এক ষোড়শী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। রাতেই রক্তাক্ত ও মুমূর্ষু অবস্থায় ষোড়শীকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। গতকাল সোমবার সকালে খবর পেয়ে খুলনা থেকে তার পিতা এসে ধর্ষণের শিকার মেয়েকে নিয়ে গেছেন।
এদিকে ঘটনার পর ধর্মভাই পল্লি চিকিৎসক সিদ্দিক আলীসহ ৩ ধর্ষক এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে এবং ধর্মভাই পল্লি চিকিৎসক সিদ্দিক আলীসহ ধর্ষকদের দূষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে। অপরদিকে ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে পল্লি চিকিৎসক সিদ্দিক আলীসহ ধর্ষকদের শাস্তির দাবি জানিয়ে লোকমোর্চার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
ধর্ষিতার পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসী জানায়, জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের আমতলাপাড়ার পল্লি চিকিৎসক সিদ্দিক আলীর সাথে প্রায় ৮ বছর আগে খুলনা দৌলতপুরের ওই পরিবারের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই ষোড়শীর সাথে সিদ্দিক আলী ধর্মবোন পাতান। রোববার সকালে সিদ্দিক আলী তার মোবাইলফোন থেকে ধর্মবোনকে তার ক্ষেতের সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে উথলীতে আসতে বলেন। গত রোববার সন্ধ্যায় খুলনার দৌলতপুর হতে ওই ষোড়শী ট্রেনযোগে ধর্মভাই সিদ্দিক আলীর জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারী বাজারের ওষুধের দোকানে এসে পৌঁছায়। এ সময় সিদ্দিক আলী ওই ষোড়শীকে কৌশলে তার ওষুধের দোকানে বসিয়ে রাখেন। রাত ৮টার দিকে সিদ্দিক আলী মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে শিয়ালমারী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে জাহিদুল ইসলামের (২৫) হাতে ষোড়শী ধর্মবোনকে তুলে দেন। এ সময় ধর্ষক জাহিদুল ষোড়শীর মুখে কাপড় বেঁধে পার্শ্ববর্তী লিচুবাগানে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। সেখানে তারা ৩ বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে। রাত ১২টার দিকে ধর্ষিতার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে ধর্ষকরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। এর আধাঘণ্টা পর ধর্ষিতার চিৎকারে এলাকাবাসী তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। গতকাল সোমবার সকালে ধর্ষিতার পিতাকে খবর দিলে তিনি খুলনা থেকে ছুটে আসেন এবং মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। ধর্ষিতার পিতা জানান, মেয়েকে সুস্থ করে তিনি ২-৩ দিনের মধ্যে ফিরে আসবেন এবং মামলা করবেন। এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।