খুন করা হয়েছিলো সুনন্দা পুস্করকে

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছিলো সুনন্দা পুস্করকে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ কমিশনার বিএস জানিয়েছেন, মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে সুনন্দার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। তাকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীর থেকে যে বিষ উদ্ধার করা হয়েছে- তা খাবারের সাথে মিশিয়ে কিংবা ইনজেকশন দিয়ে সরাসরি তাকে প্রয়োগ করা হয়। অপরদিকে স্ত্রী সুনন্দা পুস্কর হত্যাকাণ্ডের শিকার এবং দিল্লি পুলিশ হত্যা মামলা দায়ের করেছে শুনে বিস্ময়ে হতভম্ব হয়ে গেছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে থারুর বলেন, আমার স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে দিল্লি পুলিশের অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করার খবর শুনে আমি হতভম্ব। মামলাটি নিয়ে যেন ঠিকভাবে তদন্ত হয় তা দেখতে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আর আমার পক্ষ থেকে পুলিশকে শতভাগ সহায়তা করার আশ্বাস দিচ্ছি। গত ২৯ ডিসেম্বর এইমস-এর পক্ষ থেকে একটি রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয় দিল্লি পুলিশের হাতে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ড্রাগ ওভারডোজ নয়, বিষক্রিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে সুনন্দা পুস্করের। তাকে সম্ভবত জোর করে বিষ দেয়া হয়েছিলো। গত বছর জুলাই মাসে ডা. সুধীর গুপ্ত দাবি করেন, তাকে অটোপসি রিপোর্ট পরিবর্তনে বাধ্য করা হয়েছিলো। এর পরেই সুনন্দা পুরস্করের মৃত্যু ঘিরে আরও ঘনীভূত হয় রহস্য। গত বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ দিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুস্করের দেহ উদ্ধার হয়। ফরেন্সিক রিপোর্টে, সুনন্দার মৃত্যু স্বাভবিক দেখানোর জন্য চিকিত্সকের ওপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। শুরু হয় বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত ভিসেরা পরীক্ষায় সুনন্দার দেহে বিষের সন্ধান মিললো। সুনন্দ পুস্করের মৃত্যুর দিন তার হোটেলের রুম থেকে একটি ট্রাইকুইলাইজারের খালি পাতা উদ্ধার করেছিলো পুলিস। এর আগে সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যু অস্বাভাবিক ও অকস্মাৎ বলে জানা যায় ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে। দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিলো। ময়নাতদন্তের এ রিপোর্টের পর সুনন্দা মৃত্যু রহস্য আরও জটিল আকার নিয়েছিলো। লীলা প্যালেস হোটেলের একাধিক কর্মীকে জেরা করেছিলেন তদন্তকারী অফিসাররা। খতিয়ে দেখা হয়েছিলো হোটেলের তিনতলার সিসিটিভি ফুটেজও।