খাদ্যে ভেজাল কৃষিজাত দ্রব্যে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক :দেশে কিডনি রোগী তিন কোটি

 

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সীতেশ সি বাচার তথ্য

 

স্টাফ রিপোর্টার:কৃষিজাত দ্রব্যে মাত্রারিক্ত কীটনাশক ও খাদ্যে ভেজালের কারণে বর্তমানে দেশের ৩ কোটিরও বেশিমানুষ কিডনি রোগে ভুগছে। সরকারি পরীক্ষাগারে ফলমূল, শাকসবজি, দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাদ্য পরীক্ষা করার পর এ সব খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ বালাইনাশক ও রাসায়নিকপদার্থের সংশ্রব প্রমাণিত হয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য তো বটেই, কিডনির জন্যচরম ক্ষতিকর।রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সীতেশ সি বাচার এ তথ্য প্রকাশ করেন।
নারী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ওষুধ ও খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে এবংকৃষিজাত দ্রব্যে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার বন্ধে আশু করণীয়শীর্ষক একসেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। একই সেমিনারে দেশের বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ সৈয়দনুরুল আলম বলেন, জমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার জমির উর্বরা শক্তিবিনষ্ট করে। কীটনাশক পরিমিত ব্যবহার না করা হলে আবাদী জমিতে ফসলের উৎপাদনপ্রতিবছর ৩০ থেকে ৫২ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মানে, যেকোনো স্থানেই অতিরিক্ত বালাইনাশকের ব্যবহারে ফসল উৎপাদনেরলক্ষ্যমাত্রা ক্ষেত্রবিশেষে এক-তৃতীয়াংশ থেকে অর্ধেকে নেমে আসতে পারে।
নারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি লুৎফুননেসার সভাপতিত্বে এ সেমিনারে রাজধানীউন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আইন শাখার পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরোকনউদ্দৌলা, বিএসটিআইর পরিচালক কমল প্রসাদ দাস, বাংলাদেশ ভোক্তা সংরক্ষণঅধিদফতরের পরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহ আলম, বাংলাদেশমেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আলাউদ্দিন ওবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বায়ো-কেমিস্ট্রিবিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত বিশ্বাস বক্তৃতা করেন।সেমিনারে পৃথক দুটি কিনোটপেপার উপস্থাপন করেন গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ কৃষিগবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কীটতত্ত্ববিদ সৈয়দনুরুল আলম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপকড. সীতেশ সি বচার।এ ছাড়া সেমিনারে বক্তারা দেশে ভেজাল ওষুধ ও খাদ্যের কারণে মহিলাদের রক্তেসীসার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন। অধ্যাপক সীতেশের উপস্থাপিত মূলপ্রবন্ধে বলা হয়, জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে একদিকে যেমনপরিবেশবান্ধব পোকামাকড় মারা যাচ্ছে, অন্যদিকে ওই জমির উৎপাদিত খাদ্যপণ্যমানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর ও হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।