কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কোটচাঁদপুরের কামার সম্প্রদায়ের কারিগরেরা চাপাতি, ছুরি, দা-বটি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পশু কোরবানি ও মাংস তৈরিতে অতি প্রয়োজনীয় এ সমস্ত ধারালো অস্ত্রের চাহিদামতো সরবরাহের জন্য কামার সম্প্রদায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে কোরবানি ঈদের সময় কামার সম্প্রদায়ের কাজের চাপ অনেকটা বেড়ে যায়। সেইসাথে বাড়ে তাদের আয়-রোজগারও। কামার সম্প্রদায়ের সাথে আলাপকালে তারা জানান, লোহা ও কয়লার দাম বেড়েছে। সেই তুলনায় চাপাতি, ছুরি, দা-বটিসহ কামার শিল্পের পণ্যের দাম বাড়েনি। ফলে কামার সম্প্রদায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করছে। কোটচাঁদপুর পৌর এলাকাসহ উপজেলার সাবদারপুর, এলাঙ্গী, বলুহর, কুশনা ও দোড়া ইউনিয়নে প্রায় দু শতাধিক কামার পরিবারের বসবাস। এ সমস্ত কামার সম্প্রদায়ে আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে তাদের পেশায় এসেছে ব্যস্ততা। তাদের হাঁপর হাঁতুড়ি পেটায় ঢুং-ঢাং শব্দে মুখর কামারশালাগুলো।
পৌর এলাকার সরকারি কলেজ রোডের স্বপন কর্মকার জানান, তার স্বর্গীয় পিতা জিতেন কর্মাকারের হাত ধরে তার এ পেশায় আসা। তবে তার দু সন্তান এ পেশায় আসুক তা তিনি চান না। এ পেশার প্রতি তার এ অবজ্ঞা থেকে ছেলে দুটিকে তিনি লেখাপড়া করাচ্ছেন। ফুলবাড়ি গ্রামের সন্তোষ কর্মকার জানান, কামার শিল্পের অতি প্রয়োজনীয় কয়লা, লোহা ও ফাইলের (উকো) দাম দিনে দিনে যে পরিমাণে দাম বেড়েছে সেই পরিমাণে তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। এতে তারা আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে এ শিল্পকে একটি টেকসই শিল্প হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব বলে তারা মনে করেন।